• সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীতে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাঁচার আকুতি লীগপন্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা, অপপ্রচার করে শ্রম আইন বাস্তবায়নে বাঁধা প্রদান রাজশাহীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তার ভবন নির্মাণ দুর্গাপুরে “অরবিট কোচিং”সেন্টারে এসএসসি প্রস্তুতি ক্লাসের শুভ উদ্বোদন রাজশাহীর দুর্গাপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিলসহ গ্রেপ্তার-৩ রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত আরসিসিআই’র আয়োজনে সচেনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করায় গ্রেপ্তারের  দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সাংবাদিকদের সঙ্গে রাজশাহীর নবনিযুক্ত ডিসির মতবিনিময় একসাথে কাজ করার আহ্বান সাহায্যের আবেদন, বাগমারার রায়হানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

বৃদ্ধ সামছুলের কপালে ২০ বছরেও মেলেনি সরকারি অনুদানের ঘর

বিডি নিউজ২৩, রাজশাহী
সংবাদ প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
বৃদ্ধ সামছুলের কপালে ২০ বছরেও মেলেনি সরকারি অনুদানের ঘর
বৃদ্ধ সামছুলের কপালে ২০ বছরেও মেলেনি সরকারি অনুদানের ঘর

বিডি নিউজ২৩, রাজশাহী- প্রায় ২০ বছর ধরে ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ সামছুল হক। বিগত আ.লীগ সরকারের সময়ে ঘর বরাদ্দে অনিয়মের কারনে তার কপালে জোটেনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর। তাই বাধ্য হয়ে কনকনে শীত আর বৃষ্টির পানি উপেক্ষা করে বসবাস করছেন ঘরটিতে।

 

ভুক্তভোগী সামছুল হক বলেন, সবার ভাগ্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর মিললেও আমার ভাগ্য তা জোটেনি। বৃষ্টির সময় আসলে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে যায়। তখন পানি সেচে ফেলতে হয়। ঝড়ের সময় ঘরের চালা উড়ে নিয়ে যায় । কষ্ট যেন আমার পিছু ছাড়ছেনা। ৫ বছর আগে স্টক করি আমি এখন ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারিনা। অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমান সরকার যদি আমাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে কোনভাবে বসবাসটা করতে পারতাম।

 

স্থানীয় আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, সামছুলের নিজস্ব কোন জমি নেই। অন্যর দান করা জমিতে ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এভাবেই বসবাস করছেন। কনকনে শীতে জবুথবু আর বর্ষার সময় ঝড় বৃষ্টির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয় তাকে। সংসার জিবনে তিনি একা। নাপিতের কাজ করে কোনরকম জীবন যাপন করতেন । তবে ৫ বছর আগে স্টক করে অচল হয়ে পড়ে আছেন তিনি। ঔষধ কিনা তো দুরের কথা দুবেলা খাবারও জোটেনা ঠিকভাবে।

 

স্থানীয়রা জানান, তার পরিবারে কোন লোকজন না থাকায় প্রতিদিন খাবারের জন্য হাত পাততে হয় অন্যের কাছে। যদি কেউ খাবার দেয় তাহলে খান আর না দিলে না খেয়ে দিন পার করেন।

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ঘর বিতরণে হয়েছে অনিয়ম। আর এ কারনে সরকারি ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অসহায় সামছুল হক। তার জন্য শত চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন তারা। সহায়সম্বলহীন এই বৃদ্ধের জন্য সরকারি একটি ঘর প্রদানে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।

বৃদ্ধ সামছুলের কপালে ২০ বছরেও মেলেনি সরকারি অনুদানের ঘর

বৃদ্ধ সামছুলের কপালে ২০ বছরেও মেলেনি সরকারি অনুদানের ঘর

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.