• মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী নগর বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতির সঙ্গে আল মামুনের সৌজন্য সাক্ষাৎ পুঠিয়ায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ নোমান-আরাফাতের নতুন নেতৃত্বে বাগমারা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ তাহেরপুরে ওয়ান ডে ক্রিকেট টুনার্মেন্ট অনুষ্ঠিত রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতাল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা রানা প্লাজা ধসে পুঠিয়ার আহত ময়নার ১২ বছর ধরে অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রিক্সা-চালক আবুল আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ প্রতারণা করে ভাগ্য বদল হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবীবার পুঠিয়ায় মুসা খাঁ নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার পুঠিয়ায় রাস্তা থেকে জোর পূর্বক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

রাজশাহীর বাগমারায় ৭ বিষয়ে ফেল করেও তিনি শিক্ষক!

বিডি নিউজ২৩, রাজশাহী-
সংবাদ প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
রাজশাহীর বাগমারায় ৭ বিষয়ে ফেল করেও তিনি শিক্ষক!
রাজশাহীর বাগমারায় ৭ বিষয়ে ফেল করেও তিনি শিক্ষক!

বিডি নিউজ২৩, রাজশাহী- মোট ১১টি বিষয়ের মধ্যে সাতটিতেই ফেল করেছিলেন রফিকুল ইসলাম সাজু। মনোবিজ্ঞান-৩-এ পেয়েছিলেন সর্বনিম্ন ৭ নম্বর। মাত্র ৮ পেয়েছিলেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যায়। ইংরেজিতে জুটেছিল ২০। ৩৩ পেয়ে কোনো রকমে পাস করেছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান-২-এ। তার পরও রফিকুল ইসলাম শিক্ষক হয়ে গেছেন। জমা দিয়েছেন ডিগ্রিতে পাস দেখানো জাল সনদ।

 

রফিকুল ইসলাম রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাটখুজিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এই স্কুলে যোগ দেন রফিকুল। চাকরি নিয়েছেন জাল সনদে। এরপর ২০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, সেই দলের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন রফিকুল। অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতাদের কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। রফিকুল এখনো উপজেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ।

 

সবশেষ ৭ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার (মাউশি) রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালকের কাছে রফিকুল ইসলামের জাল সনদের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হাটখুজিপুর গ্রামের আবু রায়হান নামের এক ব্যক্তি। তবে এ পর্যন্ত অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়নি। এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। তখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষক রফিকুল ইসলামের ইআইআইএন নম্বর-১২৬২৮৪, এমপিও কোড নম্বর ৮৬০২১৫১৩০১। ডিগ্রি পাস কোর্সে তার রোল নম্বর ছিল ১১১৮৫০, রেজি. নম্বর ছিল ৯৩৪৮৬৭। সেশন ১৯৯৯-২০০০। ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে। এতে তিনি সাতটি বিষয়ে ফেল করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলের আর্কাইভেও তার এই ফল এখনো আছে। অথচ তিনি জাল সনদে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ দেখিয়ে চাকরি নেন। এরপর ২০১৮ সালের জুলাইয়ে তিনি এমপিওভুক্ত হয়ে সরকারের বেতন-ভাতা উত্তোলন করে খাচ্ছেন।

 

অথচ ডিগ্রিতে যে তিনি ফেল করেছেন, তার একাধিক প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে রাজশাহীর মোহনপুর ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০০৪ সালের ২২ নভেম্বর কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান এক প্রত্যয়নপত্রে জানান, রফিকুল ইসলাম বি.এ (পাস) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন। সবশেষ চলতি বছরের ২১ এপ্রিল বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ মো. বারী ইয়ামিন বখতিয়ার এক প্রত্যয়নপত্রে লেখেন, ফলাফল শিটে রফিকুল ইসলামের ফেল আছে। টেবুলেশন শিটে তার ফলাফল নেই। এমন প্রমাণ থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

 

হাটখুজিপুর গ্রামের একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষকের ডিগ্রি পাসের সনদ ভুয়া, এতে কোনো সন্দেহ নেই। গ্রামের সবাই জানে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন, তা জানি না। অর্থের কাছে তারা অন্ধ। তা না হলে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন?’

 

হাটখুজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসাহাক আলী বলেন, ‘এসব অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছিল। কিন্তু আমার কাছে কেউ তদন্ত চায়নি। আমি তদন্তও করিনি। এসব বলতে পারব না।’

 

অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘এসব অভিযোগের ব্যাপারে আমি কাগজপত্র দিয়েছি। সব মিটমাট হয়ে গেছে। কোনো সমস্যা নেই। আমি আর কথা বলব না।

 

তবে অভিযোগ সম্পর্কে এখনো জানেন না বলে জানিয়েছেন মাউশির রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোহা. আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমি তো নতুন এসেছি। এটা এখনো দেখিনি। অভিযোগটা খুঁজে বের করে এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত শুরু করব।

রাজশাহীর বাগমারায় ৭ বিষয়ে ফেল করেও তিনি শিক্ষক!

রাজশাহীর বাগমারায় ৭ বিষয়ে ফেল করেও তিনি শিক্ষক!

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.