বিডি নিউজ২৩, রাজশাহী– নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের ঝলমলিয়া হত রাজশাহী শহর পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গাচুরা গর্ত। মহাসড়কে এসব ভাঙ্গন গর্তের ফলে ছোটখাটো অনেক দুর্ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। খুব দ্রুত রাস্তার এমন সমস্যার সমাধান না করা হলে সম্ভাবনা রয়েছে মানুষের প্রাণহানির। যদিও এখনো কোনো দুর্ঘটনার ফলে রানধানীর ঘটনা ঘটেনি তবে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। মহাসড়কের মতো এমন জায়গায় এই ধরনের ভাঙ্গাচুরা গর্তের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বানেশ্বর বাজার হতে বেলপুকুর রেলগেট পর্যন্ত মারাত্মকভাবে রাস্তার ভাঙ্গাচুরা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও মোটরসাইকেলের চাকা ঢুকে আটকে যাওয়ার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে ছোট বড় সকল যান চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে এমন রাস্তার অবস্থা মেনে নিতে পারছেন না কেউই। এতে করে ওই এলাকার মানুষসহ সড়কে চলাচলকারী মানুষেরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা চাইছেন খুব দ্রুত সড়কের সংস্কার কাজ। এসব সড়কের ভাঙ্গন ও গর্ত গুলো দ্রুত কার্যকরী সংস্কার করা না হলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
ওই সড়কে চলাচল করা মোটরসাইকেল আরোহী আ: রহমান বলেন, সড়কের বাপ-মা থাকলে আমাদের এমন ভাঙ্গাচুরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করা লাগবে না। শাহিন নামের আরেক জন বলেন, মহাসড়কের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমরা আর কোথায় ভালো কিছু আশা করব। এমন বহু মানুষ আছেন তারা বলছেন, আপনারা ছবি ভিডিও না করে রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করে দেন তাতেই আমরা খুশি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন রাস্তায় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সড়কের এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কয়েকজন বাসচালক তারা বলছেন, আমরা কথা বললে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবো না ভাই দয়া করে আমাদের ছবি ভিডিও তুলবেন না। তবে আমরা চাই রাস্তাগুলো ঠিক করা হোক। রাস্তায় মূলত ভাঙ্গাচুরা গর্তের কারণেই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না।
এসব বিষয়ে মুঠোফোনে জানাতে চাইলে রাজশাহীর সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী, সানজিদা আফরীন ঝিনুক বলেন, সামনের অর্থ বছরে মেনটেনেন্সের আওতায় আমরা রিপেয়ার করে দেব। যেগুলোর আগে কাজ হয়ে যায় সেই জায়গায় এ ধরনের সমস্যা হতেই পারে। এছাড়াও আমার ৭৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে আপনি যেটা বলছেন হয়তোবা দেড় কিলোমিটার রাস্তা খারাপ। বর্ষা যখন শুরু হয়েছিল আমরা গর্ত রিপেয়ারিং কাজ করে দিয়েছি। এখন আবহাওয়া যদি আমরা ভালো পাই তাহলে, তিন চার দিনের মধ্যে এগুলো করে দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও আপনি যেটা বলছেন স্মুথ রাস্তা, সেটা করতে গেলে টেন্ডার ছাড়া, আগামী অর্থবছর ছাড়া সম্ভব নয়।

নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক যেন মরন ফাঁদ, এ যেন দুর্ঘটনার স্বর্গরাজ্য