বিডি নিউজ২৩, রাজশাহী- “তারুণ্যের যুক্তিতে আগামীর মুক্তি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ, কে, এম, নূর হোসেন নির্ঝর এর উদ্যোগে এস এম এস এম মেহেদী হাসান বাবু ও ইয়াসির আরাফাত প্রিন্স এর সার্বিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো প্রশাসনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
উক্ত প্রতিযোগিতায় পুঠিয়া উপজেলা পর্যায়ের ১২ টি স্কুল অংশগ্রহণ করেন। স্কুলগুলো হল, পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,পুঠিয়া পরেশ নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঝলমলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ নাদের আলী বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ধোপাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, পঁচামাড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ধোকড়াকুল উচ্চ বিদ্যালয়, জামিরা উচ্চ বিদ্যালয়, ধোপাপাড়া মোহনপুর আলিম মাদ্রাসা, বিড়ালদহ ফাজিল মাদ্রাসা ।
মঙ্গলবার ২৭ মে উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে বিতর্ক অনুষ্ঠানে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে অংশগ্রহণ করেন পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পঁচামাড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ফাইনালে অংশগ্রহণ করে। পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হয়ে অংশগ্রহণ করেন, সুরাইয়া আজাদ শিমু,মাইশা তাসনিম রিফা, সিদরাতুল মুনতাহা উনাইজা ও আফরা আনান স্বনির্ধ। পঁচামাড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে অংশগ্রহণ করেন, মোঃ আতিকুর রহমান, এস.এ নিরব, হোমায়রা আদিবা ও ঊর্মি।
আজকের বিষয় ছিল “এই সংসদ বিশ্বাস করে, একই ধরণের অপরাধের জন্য একজন শিক্ষিত ব্যক্তির সবসময় একজন অশিক্ষিত ব্যক্তির চাইতে অধিক শাস্তি পাওয়া উচিৎ”। এই বিষয়ের উপরে দুই দলের চলমান তর্ক বিতর্ক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয় অর্জন করেন পঁচামাড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাকিরুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার বিভাগ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। আবু মুসা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। আররাফি সিরাজি অন্তত আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। হৃদিকা আহসান শ্রেয়া, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আসাদুজ্জামান সিয়াম ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ শেষে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ, কে, এম, নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, পুঠিয়া উপজেলায় প্রশাসনিকভাবে এই প্রথমবার উপজেলা পর্যায়ের হাই স্কুল গুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এমন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু করা হলো। প্রতিবছরই এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে আমি আর আশা করি হয়তোবা এক সময় আমিও এখানে থাকবো না কিন্তু এই উপজেলা রাজশাহীর প্রত্যেকটি উপজেলার অংশ গ্রহণে বিতর্ক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
“তারুণ্যের যুক্তিতে আগামীর মুক্তি” আজকে যারা তরুণ আগামী দিনে তারাই বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে সাজাবে ।সেই সাথে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং তারা দুর্নীতি, ঘুষ, মাদক এবং সমাজের সকল অপকর্ম থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারবে। জয়ী এবং বিজয়ের সকলের প্রতি আমার আন্তরিক ভালবাসা ও অভিনন্দন রইল। উপস্থিত সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

পুঠিয়ায় আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত