বিডি নিউজ২৩, রাজশাহী- আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলের শতাধিক শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মী গাঢাকা দিয়ে গোপনে অফিস করছিলেন। ইতোমধ্যে ওপেন লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক আক্তার আলী ও সদর শাখার সহ সভাপতি সাদেকুল ইসলাম গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। এতেই অন্যান্য রেল শ্রমিকলীগ নেতারা আছেন আতংকে। অনেকেই কর্মস্থলে না গিয়েও বিভিন্ন অজুহাতে ছুটি দেখিয়ে পালিয়ে বেড়ালেও গুটিকয়েক নেতা এখনো বহাল আছেন অফিসে। বিশাল অংকের শ্রমিকলীগ নেতা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় রেলের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, রেল শ্রমিক লীগের ওপেন লাইন শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম বর্তমানে অবসরে আছেন।
তার দুই ছেলে মামুন ও সুমন রেলে কর্মরত। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা পলাতক। সিসিএম (পশ্চিম) ক্লেইম ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান দীর্ঘ এক বছর আগে থেকেই ঢাকায় অবস্থান করেন। তিনি অফিস না করে ভিন্ন অজুহাতে ছুটি থেকে বেতন উত্তোলন করছেন।
পশ্চিম রেলের নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসে কর্মরত দেবব্রত সিনহা, সিওপিএস অফিসে কর্মরত আইনুল হক, আরবিআর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (১) ইকবাল হোসেন, সিএমও অফিসের আনোয়ার, আশরাফ, ভূমি অফিসের মোহসিন, সিওএস অফিসের রিদয়সহ শতাধিক কর্মচারী গাঢাকা দিয়ে আছেন। মাঝে মধ্যে অফিসে এসে এরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন রেল সুত্র।
রেল সুত্র বলছে তাঁরা নিয়মিত অফিস করলেও গ্রেফতার আতংকে আছেন।
রেল শ্রমিকলীগ নেতা আনোয়ার বলেন, আমি অফিস করছি। ৫ আগস্টে আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আগের কমিটিতে পদে ছিলাম। বর্তমান কমিটিতে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিলো। একই বক্তব্য দেন কানগো মোহসিন আলী। তবে ফোন ধরেনি আরএনবিতে কর্মরত ইকবাল হোসেন।
রেল শ্রমিকলীগের আরেক নেতা আইনুল হক প্রকাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি কথিত বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় আছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার জানা মতে অন্যরা সকলেই অফিস করছেন। কেউ যদি অফিস না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গ্রেফতার আতংকে রেল শ্রমিকলীগ নেতারা, করছেন না অফিস