বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাহেরপুর কলেজ ও পৌর শাখার আয়োজনে রাজশাহী বাগমারার সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র খন্দকার সায়লা পারভীনের ভোট চুরি, অস্ত্রের মুখে জমি দখল, চাকুরী বানিজ্য, অবৈধ পুকুর খনন, পৌরসভায় মার্কেট বানিজা ও সন্ত্রাসীদের মদদদাতার বিচারের দাবীতে বাগমারা উপজেলা তাহেরপুর পৌরসভায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহীর-৫৫ বাগমারা-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুলকালাম আজাদ ও তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র খন্দকার শায়লা পরভিনের দুর্নীতির, চাঁদাবাজি, ,নিয়োগ বানিয্য,জোরকরে জমি দখল, লুটপাট , সন্ত্রাস ও নানা আপকর্মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ সহ বাগমারা বাসি। এসময় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
এই এমপি ও মেয়র এর সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, লুটপাট, টেন্ডারবাজি, বিপুল পরিমান অর্থ আত্নসাত এর প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহঃপ্রতিবার বেলা ১১ টায় তাহেরপুর পৌরসভার তাহেরপুর বাজারের হরিতলা মোঢ়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন ও ইস্কুল- কলেজের শিক্ষাথীবৃন্দ।
বক্তব্যে সাবেক এমপি আবুল কালাম ও তার সহ-ধর্মী খন্দকার শায়লা পারভিন সাবেক মেয়র তাহেরপুর পৌরসভাার বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ সোহেল রানা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৬ বছরে এই দেশ একক রাজত্ব কায়েম করেছিল। এই স্বৈরাচারী সরকার কেড়ে নিয়েছিল এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা, তাদেরকে বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতন করে মানুষের কণ্ঠ রোধ করে মানুষকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছিল এই আওয়ামী লীগ সরকার।
বাগমারাতে এই আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি আবুল কালাম আজাদ ছিল বাগমারা ত্রাস তার দাপট এতটাই ছিল যে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস রাখত বাগমারার জনগণ ।
কালাম বাগমারায় গড়ে তুলেছিল একটি ক্যাডার বাহিনী, তার এই নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দ্বারা বাগমারা তে এমন কোন অপকর্ম নাই যে এমপি আবুল কালাম আজাদ করেনি ! মানুষের তিন ফসলি জমিতে জোর করে পুকুর , হাটবাজার দখল , জোর করে নিরীহ মানুষের বিভিন্ন জায়গা জমি দখল এবং তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা বিভিন্নভাবে চাঁদা উত্তোলন বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে হেনস্থা , চাকরির নামে নিয়োগ-বাণিজ্য এবং তার স্ত্রী সাহেলা পারভীনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত করে দিয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ। এই স্বৈরাচারী কালামের ভয়ে তাহেরপুর পৌরসভায় কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে সাহস পায়নি।
আমরা এই স্বৈরাচারী আবুল কালাম আজাদ ও বিনা ভোটের তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র শায়লা খন্দকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এইরকম স্বৈরাচারী কোন সরকার এ দেশে না আসে সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি এদেশের বর্তমান উপদেষ্টা মন্ডলীদের কাছে। এছাড়া মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা এতে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজের ছাড় নেই। বিভিন্ন দপ্তরে ঘুষ গ্রহণ,কমিশন বাণিজ্য, সিন্ডিকেট, হামলা, মিথ্যা মামলায় আসামি করে সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।