• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আবারো রাজশাহীতে র‌্যাব-৫ এর হাতে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল সহ আটক-১ পুঠিয়ার জিউপাড়ায় এ্যাড: আব্দুস সামাদ মোল্লার নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১ সপ্তাহে একদিন বিনামূল্যে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পাওয়া যাবে, শ্রীপুরের কুঠিবাড়ী বাজারে গোদাগাড়ীতে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযোগ ভাসুরের নামে থানায় মামলা রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির যাত্রা শুরু পুঠিয়ায় সামাদ মোল্লার বিশাল নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন এক নজরে বাংলাদেশ, সবচেয়ে বড় গ্রাম বানিয়াচং, ছোট গ্রাম তিলইন রাজশাহী বাঘায় ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

পুঠিয়ায় চাকরি থেকে অপসারণের ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে

পুঠিয়া উপজেলা প্রতিনিধি;
সংবাদ প্রকাশ: সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
পুঠিয়ায় চাকরি থেকে অপসারণের ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে
পুঠিয়ায় চাকরি থেকে অপসারণের ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি;

 

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা দাখিল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক তার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।এবছরের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে ওই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার কান্দ্রা দাখিল মাদ্রাসায় প্রায় ২০ বছর যাবত নৈশ্যপ্রহরী পদে চাকরি করে আসছেন কান্দ্রা এলাকার মৃত অবের মন্ডলের ছেলে, মোঃ তালিম উদ্দিন। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ের দিকে উক্ত মাদ্রাসা থেকে একটি ফ্যান ও আরো কিছু আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র হারিয়ে যায়। এর আগেও ওই মাদ্রাসায় ঘটেছে কয়েকবার চুরির ঘটনা। পরে আবার ঘরে টিউবয়েলের মাথা চুরির ঘটনা। সে সময় টিউবওয়েল এর মাথা হারিয়ে যাবার অপরাধে, মাদ্রাসাটির সুপার ওই নৈশ্যপ্রহরীর নিকট থেকে ৪ হাজার ৪ শত টাকা জরিমানা আদায় করেন। এবার আবার মাদ্রাসার ফ্যান হারিয়ে যাওয়ার অপরাধে ওই মাদ্রাসার সুপার ৫০ হাজার টাকা ভয় ভীতি দেখিয়ে আদায় করেছেন বলে এই মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, কান্দ্রা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আনোয়ার হোসেন তিনি প্রতিষ্ঠানের ফ্যান হারিয়ে যাবার অপরাধ দেখিয়ে ভুক্তভোগী তালিম উদ্দিনের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। টাকা না দিলে চাকরি চলে যাবে এমন ভয় ভীতিও দেখানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের জিনিস হারিয়েছে বলে তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি টাকা লেনদেনের বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে বেতন বন্ধ করে দেবে বলে ভয় ভীতি দেখায়।

এসব বিষয়ে ভুক্তভোগী তালিম উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রায় ২৩ বছর যাবত উক্ত মাদ্রাসায় নৈশ্য প্রহরী পদে চাকরি করে আসছি। মাদ্রাসার ফ্যান ও আরো কিছু জিনিসপত্র হারিয়ে গেছে বলে সুপার স্যার আমার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। আমাকে বলে টাকা না দিলে আমার চাকরি থাকবে না এমনকি বেতন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরে আমি আমার চাকরি বাঁচাতে নিজের ভিটা আরেকজনের কাছে ৪০ হাজার টাকায় বন্ধক রেখে এবং পরবর্তী মাসের ১০ হাজার টাকা বেতন থেকে তুলে ৫০ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেই। এর আগে সে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অনেক টাকা নিয়েছে। আমি খুবই অসহায় মানুষ আমার টাকাগুলো আমি ফেরত চাই। এছাড়াও দিনে ও রাতে আমাকে প্রায় ২৪ ঘন্টায় ডিউটি করতে বলে সুপার। আর টাকার চিন্তায় আমি খেতে পারছি না ঘুমাতেও পারছিনা।

 

এসব বিষয়ে জানতে ওই মাদ্রাসা প্রধান সুপারেন্টেনডেন্ট আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে, সাংবাদিক বুঝতে পেরে আগামীকাল কথা বলবে বলে লাইনটি কেটে দেয়।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসাটির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট হারুনুর রশিদ বলেন, টাকা লেনদেনের পরে বিষয়টি আমি জেনেছি। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। থাকে টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। উচিত নয় দিতে হবে। আমি আগে জানতে পারলে তাকে টাকা দিতে হতো না। চারিদিকে খোলামেলা। প্রতিষ্ঠানে যদি বাউন্ডারি ওয়াল থাকতো তারপর চুরি হলে না হয় একটা কথা ছিল। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে রাতে ও দিনে কাজ করার বিষয়ে স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানটির এই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা আখতার জাহান তিনি বলেন, আমার কাছে ভুক্তভোগী পরিবার এসেছিল আমি তাদেরকে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বিষয়টি বলে দিয়েছি। যতটুকু পারা যায় তার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। লোকটিকে আমি অনেক ভালো মনে করেছিলাম। তার ভেতরে এমন কিছু আছে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। তবে অপরাধ করে থাকলে অবশ্যই তাকে সাজা পেতে হবে। আর ভুক্তভোগীকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলবেন।

 

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায়, এ বিষয়ে আরো জানতে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া উপজেলা সহকারী  (ভূমি) কমিশনার দেবাশীষ বসাক বলেন, এই বিষয়টি দেখার জন্য পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি।

পুঠিয়ায় চাকরি থেকে অপসারণের ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে

পুঠিয়ায় চাকরি থেকে অপসারণের ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.