পুঠিয়া (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রকিবুল হাসান, কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সারাদিন সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘনকুয়াশায় আবৃত্ত হয়ে থাকছে সবকিছু। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে বোরোর বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে পলিথিনের আস্তরণ দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বোরোর চারাগুলো তাপ ধরে রাখতে না পারার কারণে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চারাগুলো মরেও যাচ্ছে। ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীতের কারণে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন রাজশাহীর বোরো চাষিরা। বর্তমানে চাষিরা বোরো ধানের চারা প্রস্তুত করছেন। কিন্তু ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হলুদ এবং সাদা রং ধারণ করে বীজতলায় চারা বেড়ে উঠছে না। শিশির ভেজা চারাগুলোকে তাই ঢেকে রাখতে হচ্ছে পলিথিনের আস্তরণ দিয়ে।
চাষিরা বলছেন এ অবস্থা চলতে থাকলে বোরো আবাদে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের । চাষিরা বলছেন মাঘ মাসের শুরু থেকে রাজশাহীর বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হবে। এজন্য চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন তারা। জৈব সারও দেওয়া হয়ে গেছে। বোরো ধানের চারা একটু বড় হলেই শুরু হবে রোপণ কার্যক্রম। কিন্তু আবহাওয়া হঠাৎ বিরূপ হয়ে ওঠায় চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।
পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া এলাকার বোরোচাষি জামাল উদ্দিন জানান, শীতের কারণে বোরো চারা হলদে হয়ে মরে যাচ্ছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে এটা হচ্ছে। তাই রাতের বেলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছি। দিনের বেলা রোদ উঠলে পলিথিনটা ফেলে দেই। কিন্তু এখন তো দিনের বেলাতেও রোদ নাই। তাই দিনের বেলাতেও অনেক সময় ঢেকে রাখতে হয়। কুয়াশার কারণে বোরো আবাদে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে।