বিডি নিউজ২৩; আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর পুঠিয়া-দু্র্গাপুর-৫ আসনে, আওয়ামী লীগের একজন, জাতীয় পার্টির ১ জন, বিএনএম পার্টির ১জন, জাকের পার্টির ১ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম ১জন। গণফ্রন্ট পার্টির ১জন, এবং স্বতন্ত্র ৩ জন প্রার্থী সহ মোট ৯ জনের মনোনয়নপত্র দাখিলের খবর পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর সকাল থেকে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দু্র্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তারা মনোনয়ন পত্র জমা দেন। আজই ছিল মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিলের শেষদিন।
আজ পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা। জাতীয় পার্টির, আবুল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, আহসানুল হক মাসুদ। ও জেলা যুব লীগের, সাবেক সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান। এবং দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন বিএনএম পার্টির প্রার্থী, শফিকুল ইসলাম। জাকের পার্টির, শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির, আলতাফ হোসেন। গণফ্রন্ট পার্টির, এ্যাড: মোঃ মোখলেছুর রহমান।এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন বর্তমান এমপি প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমি জানি পুঠিয়া দুর্গাপুরবাসী আমাকে হারিয়ে অনেক কষ্টে ছিল। আমি আবার ফিরে এসেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা দিয়ে পুঠিয়া দুর্গাপুরবাসীকে খুশি করেছেন। আমি জানি পুঠিয়া দুর্গাপুর বাসি নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছেন। পুঠিয়া দুর্গাপুরের এই আসনটি নৌকা মার্কাকে জয়ী করে আমরা সকলে মিলে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।
মনোনয়ন দাখিল শেষে আহসানুল হক মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম আমাকে দেয়নি, তাই মাননীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ক্রমে আমি প্রার্থী হয়েছি। যাতে করে ভোট প্রতিযোগিতামূল, উৎসবমুখর, গ্রহণযোগ্যতা ও অবাধ সুষ্ঠু হয়। আমরা ভোট করলে দল থেকে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করবে না। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছি এবং শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো।
মনোনয়ন দাখিল শেষে ওবায়দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে। একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে আমাদেরকে ডেমো প্রার্থী হতে বলেছে। অসহায় গরীব দুস্ত জনগন আমার সাথে আছে তারা আমাকে যে ভালবাসা দেয় এতে আমি শতভাগ আশাবাদী জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমি জয় লাভ করবো
এদিকে জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন ছাড়া সকলেই নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করছেন। আর জয়ের ব্যাপারে ৯ জন প্রার্থীই আশাবাদী বলে মন্তব্য করছেন। অন্যদিকে আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের পরেই বলা যাবে কে হচ্ছেন পুঠিয়া দুর্গাপুরের জনগণের সেবক।