মিজানুর রহমান: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার স্বনামধন্য সামাজিক সংগঠন শিলমাড়িয়া উন্নয়ন সংস্থার উদ্যেগে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য সার্টিফিকেট অব ভলেন্টিয়ারর এবং পাঁচবারের অধিক রক্তদাতাদের ডোনার সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
৫ নং শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর আয়োজনে আজ সকাল ১১ ঘটিকায় এ অনুষ্ঠান শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন শিলমাড়িয়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি রাসেল আহমেদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব সাজ্জাদ হোসেন মুকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন শিলমাড়িয়া উন্নয়ন সংস্থার সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ইসলাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আশিক রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক মোসাব্বিরুল ইসলাম মাহি, পাভেল সেলিম, মাসুদ রানা, হোসেন মোল্লা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কোয়েল, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।
উক্ত অনুষ্ঠান পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। এরপর শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও পরিশেষে সমস্বরে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে চল্লিশজন স্বেচ্ছাসেবী কে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা বিশেষ অবদান রাখার জন্য সার্টিফিকেট অব ভলেন্টিয়ার এবং পনেরো জনকে স্বেচ্ছায় পাঁচবারের অধিক রক্ত দান করার জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ইউপি সচিব আতিকুল ইসলাম, সদস্য শিল্পী বেগম, ফুলমতি সহ টিপু সুলতান, ইব্রাহিম ইসলাম, আশিক রহমান, প্রতীক, রহিদুল ইসলমাম সহ আরও অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন যুব সমাজকে সামাজিক কাজের দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক, সন্ত্রাস সহ সামাজিক অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে এবং দেশের সংকটে এগিয়ে আসতে হবে। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যারা করোনা কালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন এবং যারা পাঁচবারের অধিক রক্তদান করেছেন। বক্তব্যে তিনি আরও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন ও যুব সমাজকে ভালো কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন।
শিলমাড়িয়া উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ও করোনা ভাইরাস মোকাবিলা কমিটির সহকারী সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন করোনা কালীন সময়ে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্ম পরিচালনা করেছি। আমরা সবসময় স্বেচ্ছাসেবক দের প্রাপ্য সম্মান টুকু দিতে চাই। সেই জন্য আমাদের এই আয়োজন। আশা করছি এতে করে যুব সমাজ আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হবে।