রাজশাহীতে এক নারীর কাছ থেকে চাকুরীর নাম করে টাকা আত্মসাৎ, চেক, স্ট্যাম্প ও পরীক্ষার সনদ আটকে দেওয়ার অভিযোগ
বিডি নিউজ২৩, প্রতিনিধি; রাজশাহীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, চেক, স্ট্যাম্প ও পরীক্ষার সনদ আটকে রেখে উল্টো আরো ৫ লাখ টাকার দাবি। এ বিষয়ে পুঠিয়া থানায় রোকসানা ইয়াসমিন নামের এক নারী অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় যে, পুঠিয়া থানার বানেশ্বর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মোঃ সেলিম রেজার স্ত্রী মোছাঃ রোকসানা ইয়াসমীনের একই গ্রামের আলমগীর ও রকির মাধ্যমে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার ঘোলহরিয়া গ্রামের আলহাজ্ব নাসির উদ্দীনের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে পরিচয় হন। শহিদুল ইসলাম নিজেকে ইটভাটার মালিক ও তার এক নিকটস্থ আত্মীয় মন্ত্রনালয়ে চাকরি করেন বলে পরিচয় দেন। দীর্ঘ দেড় বছর শহিদুল ইসলাম রোকসানা ইয়াসমীন ও তার স্বামী সেলিম রেজার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে। একসময় গত ১০-০৮ ২০২৩ ইং তারিখে পরিবার পরিকল্পনার ভিজিটর পদে চাকরি নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। মোট ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানান। পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরি করবে এটা ছিল রোকসানা ইয়াসমিনের স্বপ্ন, তাই তিনি চাকুরীর জন্য ১০ লক্ষ টাকায় রাজি হয়ে যান। কিন্তু এত টাকা একসাথে দেওয়া সম্ভব ছিল না তাদের। তাই শহিদুল ইসলামকে বললে ৩ লক্ষ টাকা ক্রমান্বয়ে দিতে হবে বাকি টাকা চাকরি পাবার পর দিলে হবে। শহিদুলের কথায় রাজি হয়ে চাকুরী পাওয়ার আশায় বাকি টাকার জন্য রোকসানা ইয়াসমীন নিজ নামের দুইটি ফাঁকা চেকের পাতা ও তিনশত টাকার তিনটি ব্লাংক/ফাঁকা স্ট্যাম্প, ও পরীক্ষার সকল সার্টিফিকেট জমা দেন। যাহার প্রাইম ব্যাংক চেক নাম্বার ৭৯৯৬০১৯ ও ৭৯৬৯০২০ কিন্তু শহিদুল ইসলাম চাকরী দিতে না পারায় টাকা, ব্যাংক চেক, স্ট্যাম্প ও পরীক্ষার সকল সার্টিফিকেট ফেরত চাইতে গেলে উল্টো আরো ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে রোকসানা ইয়াসমিনের কাছে। এমতাবস্থায় গত ২৪ শে আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে এর প্রতিকার চেয়ে পুঠিয়া থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকসানা ইয়াসমিন বলেন, আমার গ্রামের আলমগীর ও রকির মাধ্যমে শহিদুল ইসলাম এর সাথে পরিচয় হয়। একসময় আমাকে পরিবার পরিকল্পনার ভিজিটর পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় ৩ লক্ষ টাকা এবং প্রাইম ব্যাংকের দুইটি চেক ও তিনশত টাকার তিনটি স্ট্যাম্প সহ পরীক্ষার সকল সার্টিফিকেট জমা নেন। যখন চাকরী দিতে পারছে না, তখন আমার জমাকৃত চেক, স্ট্যাম্প, টাকা ও পরীক্ষার মূল সার্টিফিকেট গুলো চাইতে গেলে উল্টো আমার কাছে আরো ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। ৫ লক্ষ টাকা দিলে চেক, স্ট্যাম্প ও সকল সার্টিফিকেট ফেরত দিবে। আর যদি না দেই তাহলে আমার বিভিন্ন ক্ষতি ও মানহানি করবে বলে হুমকি দেয়। আমি গত ২৪ শে আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে পুঠিয়া থানায় গিয়ে এর প্রতিকার চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। আমি ওই প্রতারক শহিদুল ইসলাম সহ যারা এইসব প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত তাদের সকলের বিচার চাই। আমার মতো কেউ যেন এমন প্রতারক চক্রের হাতে পড়ে নিঃস্ব হতে না হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ শাহ আলম কিরন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে মুলত শহিদুল ইসলামের বাড়ি গোদাগাড়ী থানায় এখানে যাদের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আশাকরি দূত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে।
রাজশাহীতে এক নারীর কাছ থেকে চাকুরীর নাম করে টাকা আত্মসাৎ, চেক, স্ট্যাম্প ও পরীক্ষার সনদ আটকে দেওয়ার অভিযোগ