• শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
Headline
রাজশাহীর পুঠিয়ায় নানান আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)কে স্বাগত জানিয়ে পুঠিয়ার বানেশ্বরে র‌্যালী পুঠিয়ায় কৃষকদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন প্রণোদনার ও কৃষি উপকরণ বিতরণ স্যাংশন নিয়ে আ.লীগের একটা পশমও ছেড়া যাবে না: রাসিক মেয়র লিটন তানোরে মহিলা লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাঘায় অপহরণের ৭৪ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার বিএনপি নেতা দুলু ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নাটোরে ছিনতাই হওয়া স্বর্নালংকারসহ দুই যুবক আটক রাজশাহীর দুর্গাপুরে আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান দুর্গাপুরে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ

অভাবে বই কিনতে না পারা সেই ছাত্রী পেলেন জিপিএ-৫

Reporter Name
Update : বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২
অভাবে বই কিনতে না পারা সেই ছাত্রী পেলেন জিপিএ-৫
অভাবে বই কিনতে না পারা সেই ছাত্রী পেলেন জিপিএ-৫

বিডি নিউজ২৩; করোনার সময় বাবার আয় রোজগার ঠিকমতো না থাকায় অভাবে বই কিনতে পারেননি আবু জাইমা (১৭)।

 

বন্ধু-বান্ধবীদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।

 

আবু জাইমা যশোর শহরের মিশনপাড়া খ্রিষ্টান কবরস্থান এলাকার আবু জাফর ও সুরাইয়া ইয়াসমিনের বড় মেয়ে। বাবা আবু জাফর পেশায় একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী এবং মা গৃহিনী।

 

সোমবার (২৮ নভেম্বর) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদ সংগ্রহের জন্য যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে জাইমাসহ তার পরিবারের দেখা মেলে।

 

ফলাফল পেয়ে সেখানে খুঁশিতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন তারা। সেখানে তাদের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের এ প্রতিবেদকের। 

 

জানা গেছে, আবু জাফরের পরিবারে জাইমা ও দুই ছেলেসহ মোট পাঁচ জন সদস্য। আবু জাফর ভ্যানে করে যশোরের ঝিকরগাছা, চৌগাছা, শার্শা থেকে ভাঙাড়ি সংগ্রহ করে তা শহরে এনে বিক্রি করেন। আর এ পেশায় নির্ভর করে চলে জাইমা ও দুই ছেলের পড়াশোনাসহ পুরো সংসারের যাবতীয় খরচ। 

 

জাইমার বাবা বলেন, আমি ভ্যান চালিয়ে দূর-দুরান্ত থেকে ভাঙাড়ি সংগ্রহ করে যশোরে এনে বিক্রি করি। এর থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে জাইমার পড়াশোনা চালিয়েছি এবং পুরো সংসারের যাবতীয় খরচ সামাল দিয়েছি।

 

পড়াশোনার প্রতি জাইমার আগ্রহ থাকায় দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও আমি পিছপা হইনি। ধার দেনা করে আমার মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগান দিয়েছি।

 

আবু জাফর আরও বলেন, আমি আমার মেয়ের ফলাফলে অনেক খুশি। আমার মেয়ের স্বপ্ন সে ডাক্তার হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করবে। কিন্তু আমার ডাক্তারি পড়ানোর সামর্থ্য নেই।

 

জাইমার মা সুরাইয়া ইয়াসমিন বলেন, আমার মেয়েকে গাইড বা প্রয়োজনীয় বই কিনে দিতে পারিনি। জাইমা ওর সহপাঠীদের কাছ থেকে বই ধার করে, অনলাইন থেকে বইয়ের পেজ ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে পড়েছে।

 

এমনকি পরীক্ষা আগে ফরম ফিলাপের এক হাজার ৪০০ টাকা চার-পাঁচজনের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে দিতে হয়েছে। 

 

জাইমা বলেন, আমি জিপিএ-৫ পেয়ে অনেক আনন্দিত। করোনার সময় আমাদের পরিবারের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় বই কিনতে পারিনি। তবুও আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। আমার বাবা-মা আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। 

 

জাইমাদের প্রতিবেশী কামাল হোসেন বলেন, জাইমার পড়ালেখার প্রতি অনেক আগ্রহ। অসহায়ত্ব বা দারিদ্রতা কোনো কিছুই তাকে হার মানাতে পারেনি। 

 

এর আগে জাইমা জেএসসি ও পিএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ভালো রেজাল্টের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবার মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখছেন জাইমা। 

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Recent Comments

No comments to show.