বিডি নিউজ২৩; প্রবাস মানে তাদের কাছে শুধুই যন্ত্রণা। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই যেন এই পৃথিবী বড় স্বার্থপরের পরিচয় দিয়েছে। বড় বড় অট্টালিকায় বসে কর্তাবাবুরা রেমিট্যান্সের হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত, খোঁজ কি নেবেন এই নিস্পাপ শিশুদের! কি উত্তরই দেবে রাষ্ট্র? মায়ের মৃত্যু, বাবার নিরুদ্দেশ, নানা-নানীর মৃত্যু এখন খালায় যেন তাদের আশ্রয়স্থল। সন্তানের একটু সুখের আশায় বিদেশ যাওয়ার আগে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ মাদরাসায় ভর্তি করেছিলেন দুই সন্তানকে। মায়ের মৃত্যু পর এখন লেখাপড়া অনিশ্চিত তাদের।
১১ নভেম্বর মায়ের মরদেহ দেশে ফিরলেও যন্ত্রণা তাদের তাড়া করছে সবসময়।
সোমবার থেকে প্রায় চার মাস আগে সৌদি আরবে বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে পরিবারের মাঝে। মৃত নারী গৃহকর্মী হাজেরা বেগমের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে হাজেরা মৃত্যু নিয়ে দীর্ঘ চার মাস যাবত নানা টালবাহানা করে আসছিলেন রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স গাল্ফ ওভারাসিজ। পরিবার জানায়, এখন পর্যন্ত তারা ৮/১০ বার ঢাকায় রিক্রুটিং এজেন্সি অফিসে ঘুরেও কোনো সমাধান পায়নি। বরং তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার বোয়ালমারা গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার মেয়ে হাজেরা বেগম।
মৃত হাজেরার পরিবার জানায়, চলতি বছরের জুন মাস রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স গাল্ফ ওভারাসিজ হাজেরার ভিসা সংগ্রহ করে আরেক রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স জাবির ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য সৌদি আরব পাঠায়। হাজেরা সৌদি যাওয়ার পর থেকেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন। পরিবার নির্যাতনের কথা দালাল ও এজেন্সিকে বলেও কোনো সমাধান পায়নি। একপর্যায়ে হাজেরার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার সেদেশের নিয়োগকর্তাকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে জানান, হাজেরা আত্মহত্যা করেছেন।
এ খবর শোনারপর পরিবার রিক্রুটিং এজেন্সি অফিসে গেলে পরিবারকে উল্টো হুমকি প্রদান করেন। পরিবারের দাবি এখন রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা।