• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছেনা খতিয়ান-নকশা দুর্গাপুর মহিলা কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হাসান ফারুক ইমাম সুমন রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ সরকারের প্রবাসীরা বিমানবন্দরে অতিথির মতো সম্মান পাবেন প্রবাসী লাউঞ্জ উদ্বোধনে: প্রধান উপদেষ্টা রাজশাহীতে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাঁচার আকুতি লীগপন্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা, অপপ্রচার করে শ্রম আইন বাস্তবায়নে বাঁধা প্রদান রাজশাহীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তার ভবন নির্মাণ দুর্গাপুরে “অরবিট কোচিং”সেন্টারে এসএসসি প্রস্তুতি ক্লাসের শুভ উদ্বোদন রাজশাহীর দুর্গাপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিলসহ গ্রেপ্তার-৩ রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

রাজশাহীর বাগমারায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে অসংখ্য ইটভাটা

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২
রাজশাহীর বাগমারায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে অসংখ্য ইটভাটা
রাজশাহীর বাগমারায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে অসংখ্য ইটভাটা

বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কৃষি জমি, আবাসিক, সংরক্ষিত, বাণিজ্যিক এলাকা, স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, সরকারি স্থাপনা ও হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে বেপরোয়া ভাবে ব্যাংগের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটার বাণিজ্য।

 

ভাটা গুলোর অধিকাংশই লাইসেন্সবিহীন ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে ।তাতে মানা হচ্ছে না সরকারের পরিবেশ সংক্রান্ত কোনো বাধা নিষেধ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর বিধি-বিধান।

 

সেই সাথে চলছে জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠের ব্যবহার অপ্রত্যাশিত হারে। ফলে নিধন হচ্ছে বন জঙ্গল , বনজ ও ফলজ জাতীয় বিভিন্ন প্রকার উৎপাদনশীল গাছপালা। অতিমাত্রায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার করায় উপজেলায় সর্বোএ পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ফলে মানুষের শরীরে নানা রকম রোগের প্রাদুভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎপাদনশীল ফসল নষ্ট হচ্ছে। ফলনশীল গাছপালায় উৎপাদিত ফল পরিপুষ্ট হওয়ার আগেই গাছপালা থেকে পচে ও ঝরে পড়ছে ,যা খাদ্য হিসেবে অনুপযোগী। অধিক হারে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা হওয়ায় কৃষি জমির উপরও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। আবাদি কৃষি জমি খনন করে ইটের কাঁচামাল হিসাবে ব্যাপক মাটি উত্তোলনের কারণে ফসলের জমি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন দিন দিন কমতে শুরু করেছে এবং আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।যদি ও‌ স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক বছরে ২/১ টি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা হলেও নাম মাত্র জরিমানা আদায় ছাড়া স্থায়ী ভাবে বন্ধের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর ছাড়পত্র ছাড়াই বাগমারা উপজেলায় যে সকল ইটভাটা গুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে ,সেগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহী , কোন কার্যকরী পদক্ষেপ / আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় অবৈধ প্রক্রিয়া চলমান এই ইটভাটা গুলির সকল কার্যক্রম অধ্যাবধি চলমান। এছাড়াও বাগমারা উপজেলার নয়টি ইটভাটা বন্ধের জন্য হাইকোর্টের আদেশ থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহী অথবা স্থানীয় প্রশাসন আদালতের উক্ত আদেশ যথাযথ বাস্তবায়ন না করায় উক্ত ইটভাটারর মধ্যে কয়েকটি ইটভাটার কার্যক্রম আদালতের আদেশ অমান্য করে বর্তমানেও পরিচালিত হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য টাটা বিক্সস, হিরো বিক্সস, জে.বে.কে , এ .জেড. কে, আর .ক ও এ.এস.এম। এছাড়াও এইচআরপিবি এর একটি রীট পিটিশন দায়েরের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ গত ১৩ নভেম্বর শুনানিনানতে বাংলাদেশের সকল জেলার অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্ট বিভাগ রুল জারি সহ মনিটরিং টিম গঠন করে অবৈধ ইটভার্টার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার স্থগিত করনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী আদেশ প্রদান করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.