দুর্গাপুরের কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের কৃষি জমি সংরক্ষণ ও রক্ষায় স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের ভবানীপুর মৌজায় ভবানীপুর বিলে ৩০ বিঘা আবাদি কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে প্রকৃত জমির মালিকদের সাথে কোন রকম আলাপ আলোচনা না করে এবং তাদের সম্মতি না নিয়ে জোরপূর্বক ভাবে অএ এলাকার আব্দুল লতিব দুর্গাপুর পৌরসভার ধরমপুর মহল্লার মোঃ মোশাররফ হোসেনের ২ দুটি ভেকু মেশিন ভাড়া নিয়ে গত শনিবার থেকে আবাদি কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন কাজ করছে।
বিশেষ ভাবে জানা যায় যে উক্ত ভেকু মেশিন মালিক মোশারফ হোসেন বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় আবাদি জমি ধ্বংসের মাধ্যমে পুকুর খনন কাজ করে আসছে। তাই মোশারফ কে এক নামে দুর্গাপুরের সবাই চেনেন এবং জানেন যে ভেকু মেশিন মালিক মোশারফ পুকুর খননের একজন ভালো তদবির বাজ। এ জন্য তার ভেকু মেশিন ভাড়া নিলে আলাদা ভাবে পুকুর খননের জন্য কারো সাথে যোগাযোগ করতে হয় না।মোশারফের সাথে পুকুর খননকারীর চুক্তি হলেই মোশারফ নিজেই পুকুর খননের জন্য সকল তদবিরের দায়-দায়িত্ব নিজ কাধে নিয়ে থাকে।
কৃষকরা আরও বলেন যে তাদের এলাকায় দীর্ঘ ধরে শত শত বিঘা কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খননের ফলে তাদের ভবানীপুর মৌজায় ইতিমধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। তারা আরও জানান যে অধিকার হারে কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করার কারণে বর্তমানে তাদের কৃষি জমি পরিমাণ খুব অল্প।যদি অতি দ্রুত লতিবের এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করা না হয় তাহলে তাদের খাদ্যের প্রধান শস্য ইরি ধান উৎপাদনের ক্ষেত্র বিলীন হয়ে যাবে । ফলে ভবিষ্যতে তাদের পরিবার পরিজনের জীবন জীবিকা অতি দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। তাই উক্ত লতিব ও মোশারফের নৈরাজ্য ও আগ্রাসন থেকে কৃষি জমি রক্ষায় স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ পুকুর খনন কারী লতিব বলেন, মোশারফকে সকল দায়িত্ব দেওয়া আছে। তিনি সকলকে ম্যানেজ করছেন।আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন।