মোস্তাফিজুর রহমান জীবন, রাজশাহী, বিডি নিউজ২৩; সারা পৃথিবীতে, তথা সারা বাংলাদেশে যখন চলছে চরম ধান চাল সহ খাদ্য সংকট। ঠিক সেই মুহূর্তে আবারও এক শ্রেণীর অসাধু পুকুর খননকারীরা মেতেছে, তিন ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের মহা উৎসবে। গত কয়েক বছরে দুর্গাপুর উপজেলার মধ্যে আবাদি জমির প্রায় অধিকাংশ পুকুর খনন করে শেষ করেছে। এ বছর পুকুর খননের দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে পুরো পুঠিয়া উপজেলায় আর কোন আবাদী জমি থাকবে না শুধু থাকবে পুকুর।
জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ২,নং কিশমত গণকৈড় ইউনিয়নের গোপাল পাড়া, ঠেঙ্গামারা বিলে প্রায়, ৪০বিঘা ফসলি জমিতে ৪টি স্কুভেটার ভেকু মেশিন দিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কাজ, এই অবৈধ পুকুর খনন কারী গোপাল পাড়া গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ কামাল হোসেন। এই অবৈধ পুকুর খননের পিছনে লুকিয়ে আছে ক্ষমতাশালী দলের কিছু নেতাকর্মীর হাত। ফলে জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা ও সরকারের নির্দেশনা কোন কিছু তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন অবাধে ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ পুকুর খনন অব্যাহত রেখেছে।
এই অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খননের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফসলি কৃষি জমি এবং এসব অবৈধ পুকুর খননের কারণে এবার পুরো বিলেই জমে ছিলো বর্ষা মৌসুমের পানি। পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশনের কোন পথ না থাকার কারণে পানের বরজ সহ আরও অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেয়েছিলো। খুব কষ্ট করে না খেয়ে দিন পার করেছি। আমাদের দুঃখ দুর্দশার প্রধান কারনই হল ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমাদের জোর দাবি খুব দ্রুত এসব অবৈধ পুকুর খননকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ । এসব অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা যারা কৃষি নির্ভরশীল পরিবার রয়েছি তারা পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়বো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা কে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেন নি।