স্টাফ রিপোর্টারঃ একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম রংপুর এবার অফিস নিয়ে পালানোর পরে শর্ত দিয়ে এবং সাবেক ইনচার্জের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক লিখত নিয়ে কয়েকটি খামারির চেক ফেরত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় গত ১২ নভেম্বর একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ এর জিএম ও এজিএম সংবাদে আশার জন্য লালমনিরহাটের স্হানীয় কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার টাকার বিনিময়ে রংপুর ব্রাঞ্চের সাবেক ইনচার্জ মোঃমাহমুদুল নবীর নামে মিথ্যা টাকা অত্মসাৎ এর সংবাদ প্রচার করা হয়।
একাত্তর ইন্টিগ্রেশনের রংপুরের সাবেক খামারী মোঃ জুয়েল রানা জয় এর সাথে কথা বলে জানা যায় যে গত ১১ নভেম্বর সাবেক রংপুর ব্রাঞ্চের একাউন্ট অফিসার সাকিব মুঠো ফোনে কিছু সংখ্যক খামারিদের জানায় যে আপনাদের জমাকৃত চেক ফেরত দেওয়া হবে, কিন্তু আপনাদের লালমনিরহাটে আসতে হবে সেখানে জিএম এজিএম স্যার আপনাদের সাথে কথা বলে চেক ফেরত দিবেন, তার কথায় আমরা কয়েকজন খামারি লালমনিরহাটে যাই সেখানে যাওয়ার পরে তিনারা বলেন যে আপনাদের সাবেক ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুল নবী এর বিরুদ্ধে লিখিত দিলে আপনাদের জমাকৃত কাগজ পত্রসহ চেক ফেরত দেওয়া হবে, তাদের এই শর্তে রাজি না হওয়াতে সেদিন কাওকে চেক ফেরত না দিয়ে লালমনিরহাট জেলা শহরে হোটেল নর্থ বেঙ্গলে অবস্থান করে এবং পরের দিন ব্লাংক চেক জমা থাকায় মামলা থেকে বাঁচাতে দুই একটা খামারী লাইন সুপারভাইজার অজয় চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে লিখিত দিয়ে চেক ফেরত নেন এমনকি অজয়ের নিজের ভাইকে ভয় দেখিয়ে অজয়ের বিরুদ্ধে লিখিত নেয়।কিন্তু আমি তাদের শর্তে রাজি না হয়ে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সহোযগীতায় আমার চেক ফেরত পাই।
এবিষয়ে রংপুর ব্রাঞ্চের সাবেক ইনচার্জের সাথে কথা বললে তিনি বলেন যে, আমি একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশে ২০২০ সাল থেকে সুনামের সাথে কাজ করে আসছি,আমার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আমি এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।তিনি আরো জানান এই প্রতিষ্টানটি সুনামের সাথে ব্যাবসা পরিচালোনা করে আসছিলো কিন্তু এই জিএম ও এজিএম কোম্পানিতে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন কর্মচারীদের তাদের রাজনীতির স্বীকার হতে হয়েছে এবং শত শত কর্মচারীদের বিনা কারণে চাকরি চুত্ত্য করে ও একাধিক মাসের বেতন বন্ধ রেখেছে যেটা একটা সুনামধন্য কোম্পানির জন্য বদনামের বিষয়।
তিনি আরো বলেন আপনারা জানেন যে গত ৪ অক্টোবর আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমাকে না জানিয়ে রংপুর ব্রাঞ্চ অফিস নিয়ে পালান,আমি থানায় অভিযোগ করাতে এগুলো রটাচ্ছে যা ভিত্তিহীন যার প্রমান এখানে প্রকাশ করেছে আমি সাবেক ব্রাঞ্চ ইনচার্জ অথচ আমাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে আমি একজন ব্যাবসায়ী এবং আদালতে অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবো তার সকল প্রমান আমার কাছে আছে।
এবং তিনি আরো বলেন এই জিএম ও এজিএম তাদের নিয়োগ করা লোক দিয়ে কোম্পানির কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এখন সেই টাকার দায় নিরপরাধ লোকদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে এবং বিভিন্ন কর্মচারীদের চেক ডিজোনার করে ভয় দেখিয়ে সেই টাকা পূরণের চেষ্টা করছে।
এই বিষয় জানতে একাত্তর ইন্টিগ্রেশনের জিএম ডাঃ নুরুল আলমের সঙ্গে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।