রাজশাহীর, পুঠিয়ার, জিউপাড়া ইউনিয়নে বন্যা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুঠিয়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার প্রায় সকাল ৮ টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। বন্যা খাতুন উক্ত গ্রামের জনৈক নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী।
এদিকে গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্যের। মৃত বন্যা খাতুনের স্বামী নিজাম উদ্দিন নাটোরের প্রাণ কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন।
জামাল হোসেন নামের একজন প্রতিবেশী বলেন, জানালার সঙ্গে যেভাবে ওই গৃহবধূর ফাঁস দেওয়া লাশ পাওয়া গেছে তা রহস্যজনক।
নিজাম উদ্দিন বলেন, আমি প্রতিদিনের মতোই কোম্পানিতে ডিউটি করছিলাম। ডিউটি থেকে ফিরে এসে সকালে ঘরের দরজায় সামনে দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি করলে কোন সাড়াশব্দ না পেলে, জানালা দিয়েও ডাকাডাকি করে ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেলে, জানালার ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিলে সেখানে তার শরীরে হাত লাগে। তখন আমি আতঙ্কিত হয়ে ডাকাডাকি করলে তখন আমার বড় ভাবি সেখানে আসে সাথে আরো লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখানে থাকা ছোট একজন বাচ্চাকে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে দেই দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। পরে দরজা খুলে দিলে, আমরা ভিতরে গিয়ে দেখতে পাই, জানালার সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ।
পুঠিয়া থানার এস,আই আব্দুল আলিম বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে, এ ঘটনায় ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য আটক করা হয়েছে। মৃতের লাশটি পোস্টমর্টেমের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।