বিডি নিউজ২৩; মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে দেহ ব্যবসা চলছিল রমরমিয়ে। আর তার প্রতিবাদ শুধু নয়, চরম শিক্ষা দিল পুরুষ ও মহিলাকে। দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে ইলেক্ট্রিক পোলে বেঁধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দিল মহিলা ও পুরুষকে এলাকার বাসিন্দারা।অভিযোগ, শহরের মধ্যে জঙ্গিপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিবু বারিক নিজের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে চালিয়ে আসছিলেন দেহ ব্যবসা বলে অভিযোগ।
বারবার এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করলেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার পাড়ার লোকজন খেপে গিয়ে যুবক ও যুবতীকে ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে রাখে। তারপরে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ কে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ছেলে ও মেয়ে বাড়ির মালিক ও মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। তবে জনবহুল এলাকায় দেহ ব্যবসা চালানো যাবে না এই অভিযোগেই আজকে ইলেক্ট্রিক পোলে বেঁধে রাখা হয় দুই জনকে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়িতে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল এই মধুচক্রের আসর। বারবার বাড়ির মালিক কে জানানো হলেও তা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। জনবহুল এলকায় মধু চক্রের আসর কেন ? এই অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে একজন মহিলা ও পুরুষকে টেনে এনে মারধর করা হয়, ইলেক্ট্রিক পোলে বেঁধে রাখা হয়। এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুদ্ধ ছিলেন। পোলে বেঁধে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্হানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ গিয়ে বাড়ির মালিক সহ মোট চারজনকে আটক করে নিয়ে যায়। অভিযোগ, দুই বছর ধরে বহিরাগত মহিলাদের কে নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা চালানো হত শিবু বারিকের পক্ষ থেকে। আমরা প্রথমে একজন বহিরাগত ছেলে কে ধরি তার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে সঠিক পরিচয় দেখাতে পারেনি, পরে মহিলার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে সেও ঠিক মতো দেখাতে পারেনি। আমরা পোলে বেঁধে রেখে পুলিশ কে খবর দিয়েছি। পুলিশের কাছে আবেদন সঠিক তদন্ত করে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
(সুত্রঃ নিউজ১৮বাংলা)