বিডি নিউজ২৩: কোভিড সৃষ্ট দুর্যোগ কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার শ্রমিক। সিংহভাগেরই গন্তব্য ছিল সৌদি আরব। সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুরেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী অভিবাসী হয়েছেন। শ্রমিকের সংখ্যার সঙ্গে প্রধান এসব শ্রমবাজার থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ার কথা। কিন্তু একেবারেই বিপরীত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে।
শ্রমবাজারে নতুন করে যুক্ত হওয়া রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশীর উপার্জিত অর্থের গন্তব্য নিয়েই এখন নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসীরা ঠিকই দেশে থাকা স্বজনদের কাছে অর্থ পাঠাচ্ছেন। তবে ব্যাংকিং চ্যানেলে না পাঠিয়ে তারা মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অবৈধ হুন্ডিকে। এতে স্বজনরা উপকৃত হলেও ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশ। বাড়ছে না ডলারের রিজার্ভ।
অর্থনীতিবিদদের দাবি, ডলারের বিনিময় হার নিয়ে অস্থিরতার সুযোগে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠায় অভিবাসীরা অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন।
দেশে ডলারের বিনিময় হার নিয়ে বড় ধরনের অস্পষ্টতা রয়েছে। রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের সর্বোচ্চ দর ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। এক্সচেঞ্জ হাউজের রেমিট্যান্সের দর ১০৭ টাকা। আবার খুচরা বাজারে ডলারের দর ১১৫ টাকারও বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে ৯৭ টাকায়। এক বাজারে ডলারের এত ধরনের দর হুন্ডি তত্পরতাকেই উৎসাহিত করছে।
এখান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই পৌনে ৯ লাখ শ্রমিকের রেমিট্যান্স গেল কোথায়?