বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সার্জারীর মাধ্যমে প্রথম নবজাতকে শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা

বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সার্জারীর মাধ্যমে প্রথম নবজাতকে শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা . হাবিল উদ্দিন, রাজশাহী,প্রতিনিধিঃবাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২৯ বছর (ওটি) চালু হবার পরে প্রথম সদ্য নবজাতককে ফুলেল শুভেচ্ছা ও নতুন পোশাক প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেয়া হয়।রবিবার(৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাড়পত্র প্রাক্কালে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

 

সংবর্ধনাকালে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশাদুজ্জামান আসাধ,ইউএইচ&এফপিও; ডা. পার্থমণি প্রিয় ভট্টাচার্য্য, মেডিসিন কনসালটেন্ট; ডা.রাকেশ পান্ডে, আরএমও ডা.মল্লিকা সরকারসহ সহ ডাক্তারবৃন্দ এবং নার্সরা।

 

এর আগে গত বুধবার(২৬ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠার ২৯ বছর পর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশাদুজ্জামান বিশেষজ্ঞ সার্জনের হাতে অস্ত্রপচারের যন্ত্রপাতি তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

 

দীর্ঘ ২৯ বছর গত বুধবার(২৬ অক্টোবর) দুপুরে মনিরা বেগম নামের এক প্রসূতি মায়ের সফল সিজারিয়ান অস্ত্রপচারের মধ্য দিয়ে চালু করা হয়। সিজার অপারেশনটি করেন গাইনি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ ফারহানা ও এনেসথেসিওলজিষ্ট ডাঃ আবুল এহসান। সহযোগিতা করেন ডাঃ মল্লিকা সরকার ও ওটি ইনচার্জ স্টাফ নার্স ফাতেমা বেগম। উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন কনসালটেন্ট ডাঃ পার্থ মনি,শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আসাদ-উদ ইসলাম, হাড় জোড় বিশেষজ্ঞ আহসানুজ্জামান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাকেশ পান্ডে।এ সময় প্রসূতি মায়ের পেট থেকে একটি পুত্র সন্তান বের করা হয়। 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশাদুজ্জামান বলেন, এখন থেকে সপ্তাহের বুধবার ওটি হবে। তিনি আরও জানান, গাইনি ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হলে নিয়মিত অপারেশন করা সম্ভব হবে। এই দুটি পদসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারির স্বল্পতা রয়েছে। যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করছি প্রাইভেট হাসপাতালমুখী রোগীদের ফিরিয়ে আনতে। তার কাজে সহযোগিতা করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। দীর্ঘদিন এখানে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ থাকায় এলাকার প্রসূতি মায়েরা সরকারি হাসপাতালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। 

 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে,২৯ বছর যাবত কোনো অপারেশন হয়নি। ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে বাঘায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। আধুনিক মানের অপারেশন থিয়েটার ও যন্ত্রপাতি থাকলেও ম্যানপাওয়ারের অভাবে অস্ত্রপচার হচ্ছিল না। সামান্য অপারেশনের জন্য রোগীদের জেলা হাসপাতালসহ স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হয়। প্রতিষ্ঠাকালে নীচ তলায় আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়। পরে দ্বিতীয় তলায় স্বয়ংক্রিয় আধুনিক অপারেশন থিয়েটর স্থাপন করা হয়।

 

সরেজমিন দেখা গেছে,গড়ে ৩০০-৪০০ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করছেন নিয়মিত। রোগ নির্ণয়ে অধিকাংশ রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ২৪ ঘণ্টা ইসিজি, এক্স-রে, জিন এক্সপার্ট মেশিনে যক্ষ্মা নির্ণয় ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ দেওয়া হচ্ছে দাঁতের ও চোখের আধুনিক চিকিৎসা। আগের তুলনায় বর্তমানে নরমাল ডেলিভারির হার অনেক বেশি। তবে রোগী পরিবহণে রয়েছে ১টি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *