• সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীতে ফসলি জমি রক্ষায় তিন সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন আগে ছিলো আওয়ামী লীগের সম্পাদক এখন বিএনপির সভাপতি রাজশাহীতে তানোরে মায়ের আম কাটা বটির উপর পড়ে শিশুর মৃত্যু রাজশাহীতে চেয়ারম্যানকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন বাগমারায় নবীণ সংঘের উদ্যোগে ফুটবল টুনার্মেন্ট ও জিপিএ৫ প্রাপ্তদের সম্মাননা প্রদান কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অসুস্থতা জনিত ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত রেল শ্রমিক লীগ নেতারা যশোরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নারী ডাক্তারকে ধর্ষণ পুঠিয়ায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত রাজশাহীর বাগমারায় কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক দল নেতা-কর্মীরা রাজশাহী জেলা ও তাহেরপুর সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

রাজশাহীতে শীতের আগমনে খেজুর গুড়ের বাম্পার ফলনের আশায় গাছিরা

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২
রাজশাহীতে শীতের আগমনে খেজুর গুড়ের বাম্পার ফলনের আশায় গাছিরা
রাজশাহীতে শীতের আগমনে খেজুর গুড়ের বাম্পার ফলনের আশায় গাছিরা

আব্দুল খালেক দূর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে এক সময় খেজুর গাছে ভরপুর ছিল। শীত আসলেই ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গাছিরা। বিকেল হলেই গাছে হাঁড়ি বসাতেন আবার সকাল হলে রস সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে আসতেন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলতো আগুনে রস জ্বাল করে গুড় আর পাটালি তৈরির কাজ।

খেজুরের গুড় আর পাটালির মৌ মৌ গন্ধ বাতাসে ভেসে আসতো। কেউ কেউ রস বিক্রি করতেন আবার কেউ কেউ সেই রস দিয়ে শীতের পিঠাঁপুলি তৈরি করে আত্বীয় স্বজনদের দাওয়াত করে খাওয়াতেন। কালের বিবর্তনে এসব এখন ইতিহাসের পাতায় জড়ো হচ্ছে। হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুর গাছ গুলো।

তবে গত কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে ওঠা খেজুর বাগান গুলো বদলে দিয়েছে এ উপজেলার চিত্র। প্রতিবছর শীতে তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়। প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী বার্তা। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রস্তুত হচ্ছে প্রকৃতি। 

 

একইসঙ্গে খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুত হতে দেখা গেছে দূর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গাছিয়াদেরও।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেমন করে একদিকে রস সংগ্রহের জন্য এখন গাছকে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবার অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়েই কোমরে রশি বেঁধে গাছে ঝুলে রস সংগ্রহের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে গাছিয়াদের। প্রতিদিন বিকেলে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বাঁধা হয়, আর সকালে রস সংগ্রহ করা হয়। কেউ কেউ কাঁচা রস এলাকার বিভিন্ন স্থানে ও হাটে-বাজারে খাওয়ার জন্য বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ সকালে এই রস জ্বাল করে গুড় তৈরি করেন।

 

এদিকে দুর্গপুর পৌরসভার আট নং ওয়ার্ডের শাফলগাছি গ্রামের মোঃ হাফেজ উদ্দিন জানান,

১০ দিন হয়েছে গাছ চাঁচ দেয়ার কাজ শুরু করেছি। গাছের ময়লা ও অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়েছে। ধারালো দা আর হাসুয়া দিয়ে খেজুর গাছের সোনালী অংশ বের করা হয়েছে। কিছুদিন পরই গাছে লাগানো হবে মাটির পাতিল। এরপরই শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস সংগ্রহের কাজ। তা দিয়ে তৈরি হবে গুড় ও পাটালি।

 

তিনি আরও বলেন, গাছ একবার ছাঁটলে তিন-চার দিন রস সংগ্রহ করা যায় এবং পরবর্তীতে তিন দিন শুকাতে হয়। এভাবে কাটলে গাছের রস সুমিষ্ট হয়। রস সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। রস সংগ্রহের পর হাড়ি পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলার আন্দুয়া গ্রামের গাছি গোলাপ বলেন, বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, তাতে এক সময় হয়তো আমাদের এই উপজেলায় খেজুর গাছ থাকবে না। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের সবার উচিৎ তালগাছের মতো বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগানো এবং তা যত্ন সহকারে বড় করা।

 

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, এই উপজেলায় খেজুরের গাছ রোপণের ক্ষেত্রে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায় না। সবাই আম, কাঁঠাল, বরই, পিয়ারা আর লিচু গাছ নিয়েই ব্যস্ত। সব গাছেরই প্রয়োজন আছে। কেউ নতুন করে খেজুরের বাগান করতে চাইলে বা খেজুরের গাছ রোপণে যে কোনো সহযোগিতায় পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.