রংপুরে আলাল গ্রুপের চাকরি প্রোলোভন দেখিয়ে ব্লাংক চেক নিয়ে প্রতারনা ও ব্রাঞ্চ অফিস নিয়ে পালানোর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুর: রংপুরে আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ এর উপরে ব্লাংক চেক নিয়ে চাকরি প্রোলোভন দেখিয়ে এবং খামারিদের ব্লাংক চেক নিয়ে রাতারাতি অফিস নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী ও কয়েক জন খামারি সাথে কথা বলে জানা যায় যে চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া শেরপুরের প্রতিষ্ঠান আলাল গ্রুপের অঙ্গ সহযোগী একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ নামে (কন্ট্রাক ফার্মিং পদ্ধতিতে) রংপুর পশ্চিম খাসবাগ রাজা মিঞার বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম শুরু করেন।
প্রথম অবস্থাতে খামারিদের চেক নিয়ে কোম্পানির স্টাম্পে লিখিত নিয়ে বাচ্চা,ফিড,মেডিসিন দিয়ে খামারির সাথে কন্ট্রাকে ব্যাবসা শুরু করে, এমতো অবস্থায় গত মার্চ মাসে কোম্পানির জিএম অপারেশন ডাঃনুরুল আলম সকল কর্মচারীদের জোর পূর্বক ব্লাংক চেক জমা নেয় এবং যাদের চেক জমা দিতে বিলম্ব হয় তাদের বেতন বন্ধ করে দেয় এবং অনেক জনকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করে, এবং চাকরিচ্যুত ব্যাক্তিদের উপরে কোম্পানির লোকসানের কথা বলে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে অন্যথায় মামলার ভয় দেখায়,এই অবস্থায় কোম্পানির অন্যান্য কর্মচারীরা কাজের মানসিকতা হারিয়ে ফেলে তাতে মাঠ পর্যায়ে কাজের বিঘ্ন ঘটে এবং খামারিদের পাওনা টাকা পেতে বিলম্ব হয়।বিভিন্ন সময় খামারিরা তাদের কমিশনের টাকার জন্যে দায়িত্বরত ব্রাঞ্চ ইনচার্জ কে অবগত করেন তিনি এটা সমাধানের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানান তাতেও কোন সুরাহা না হওয়াতে পাওনা টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে সম্মিলিত হয়ে খামারিরা অফিসে এসে চাপ সৃষ্টি করে,এমতো অবস্থায় ব্রাঞ্চ ইনচার্জ ও দুই তিন জন কর্মচারীদের কোনকিছু না জানিয়ে উক্ত কোম্পানির জিএম অপারেশন ডাঃনুরুল আলমের নির্দেশে একাউন্ট অফিসার সাকিব ও স্টোর অফিসার রৌশন রাতের আধারে অফিসের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয় দায়িত্বরত ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এই বিষয়ে পূর্বে থেকে তাকে কিছুই জানানো হয়নি এবং উর্ধতন কর্মকর্তাগন তার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে,তিনি আরো জানান পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রংপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।