বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৫টি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছেন ফায়ার সার্ভিস। শনিবার দুপুর দেড় টার দিকে মচমইল বাজারে কৃষি ব্যাংক মোড়ে মুদি ব্যবসায়ী সমর কুমারের দোকানে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। সেই আগুন মুহুর্তের মধ্যে ওই মার্কেটের আরো ১৪ টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরের সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী মসজিদে ছিলেন নামাজ আদায়ের জন্য। কয়েক জন ব্যবসায়ী দুপুরের খাবার খেতে বাড়িতে যায়। সেই সময়ে ঘটে মর্মান্তিক এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা।
দোকানগুলোর মধ্যে ছিল কীটনাশক, মুদি, টি-স্টল, পোশাক, ফল, সেলুন এবং জুয়েলারী। ১৫ টি দোকানের মধ্যে ৩টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও একটি দোকানের মালামাল সরিয়ে নেয় এক ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমর কুমার, শংকর, নারায়ন, মোতালেব হোসেন, শফিকুল ইসলাম, পুলক কুমার, সবুজ, অধির কুমার, পলাশ, রায়হান আলী, মাসুদ রানা প্রমুখ।
মুদি দোকান থেকে পাশের পোশাকের দোকানে লাগে আগুন। পরে সেই আগুন কীটনাশকের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে আগুনের লেলিহান শিখা আর কালো ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় গোটা বাজার। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কওে ব্যর্থ হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্নিকান্ডের স্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ১১ টি দোকানের সমস্ত মালামাল পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। ১৫ টি দোকানের আসবাবপত্র, টিন সহ দোকানে থাকা নগদ অর্থ ও মালামাল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কেউ যেন অন্য কিছু নেয়ার চেষ্টা না করে সে বিষয় দেখভাল করেন। সেই সাথে ঘটনাস্থলে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেটা নিয়ন্ত্রণ করে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সান্তনা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে বাগমারা ভায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁয়ায়। আমাদের সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যোগদান করলে উভয়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ১৫ টি দোকানের সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। এই অগ্নিকান্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।