মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ
রাজশাহীর কাটাখালী থানাধীন বেলঘরিয়া গ্রামে এক বোনের বিরুদ্ধে ছোট ভায়ের গচ্ছিত টাকা না দিয়ে উল্টো গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রক্ষক যখন ভক্ষক এমনিটিই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এক ছোট ভাই তার নিজ বোন নজরুল ইসলামে স্ত্রী জুলেখা বেগমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, রাজশাহীর কাটাখালী থানাধীন বেলঘরিয়া এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মজনু আহমেদ তার আপন বড় বোন জুলেখা বেগমের কাছে সরল বিশ্বাসে ৩,৯৭,০০০/- (তিন লক্ষ সাতানব্বই হাজার) টাকা রাখতে দিয়েছেন। পরে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় তালবাহানা করতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ০৭ নভেম্বর ২০২১ সালে গচ্ছিত পাওনা টাকার বিষয়ে সাবেক ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের শুনানি শেষে সালিশি বোর্ডের কাছে পাওনা টাকা পাবার কথা শিকার করেন জুলেখা বেগম। পাওনা ৩ লক্ষ ৯৭ সাতানব্বই হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য সালিশি বোর্ডে সময় নির্ধারন করে দেন।
সালিশি বোর্ডের রায়কে অমান্য করে পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারমুখি আচারণ করে এবং টাকা দিতে পারবো না বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হুমকি ধামকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মজনু বলেন, আমি আমার বোনের নিকট রাখা টাকা ফেরত পেতে ইউসুফ ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে সালিশী বৈঠকে বসেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা করতে পারেনি উল্টো আমার বাড়ি এসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে গেছে বলে জানান এই ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিউল আলম রতনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে পরামর্শ দিয়েছিলা।
এ বিষয়ে ইউসুফপুর ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার তপন চৌধুরী বলেন কয়দিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে এ টাকার বিষয়ে সালিশী বৈঠক বসেছিল এবং তাদের সালিশি বৈঠক খরচ বাবদ ৫০০০ টাকা জমা নেওয়া আছে। পরবর্তীতে আর কোন সুরাহা হয়নি বলেও জানান।
অভিযুক্ত জুলেখা বেগমের নিকট একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।