শাহাদত হোসাইন; সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীর পুঠিয়া দুর্গাপুরে মহা ধুমধামে পালিত হলো দুর্গোৎসব। মহা ষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আর এই দুর্গোৎসব উদযাপন করে আজ বিকেলে প্রতিমা বিসর্জন দেবার জন্য সনাতন ধর্মালম্বীরা সমবেত হয়। দিয়েছেন প্রতিমা বিসর্জন।
বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৫ টার দিকে মন্দিরগুলো থেকে প্রতিমা বিসর্জনে বের হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় সব অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- এ প্রার্থনা করেন তারা।
রাজশাহী অঞ্চলের কোন মন্দিরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সংবাদ পাওয়া যায়নি। বরং ধর্ম বর্ণ শেষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে উৎসব পালনে সহায়তা করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়তই ছিলেন তৎপর। পুঠিয়া উপজেলার দাসমাড়িয়া প্রত্যন্ত গ্রাম এই এলাকার মধ্যে রয়েছে একটি মন্দির সেখানেও ভীষণ ধুমধামে পালন করা হয়েছে দুর্গোৎসব। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এমনই দুর্গাপুর উপজেলার ৩ নং পানানগর ইউনিয়নের আরো একটি প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা, গুনাজি পাড়া মন্দির সেখানে পাশাপাশি দুটি দুটি মন্দিরে জমকালো আয়োজন করে পালন করা হয়েছে দুর্গোৎসব তারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সার্বিক পরিস্থিতির জন্য।
রতন সরকার বলেন, এবারের পূজা উদযাপনের মাধ্যমে সব অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির বিকাশ ঘটবে। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।
পূজা চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন পূজা মন্ডপ গুলো ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক সহ স্থানীয় এমপি প্রফেসর ডাক্তার মনসুর রহমান। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দ্বারা, (সাবেক এমপি) পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু সহ পুঠিয়া-দুর্গাপুর উপজেলার আরও অনেক প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।