শাহাদত হোসাইন, স্টাফ করেসপন্ডে: রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বরে পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেছে নববিবাহিত এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নামাজ গ্রাম হাজীপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে আহসান হাবীব (২৭) কে, পার্শ্ববতী এলাকার সোনিয়া নামে (২৫) চলতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর তারা গোপনে বিবাহ করে।
পুত্রবধূর স্বীকৃতি পেতে অনশন করা ভুক্তভোগী সোনিয়া বলেন, আমি আমার স্বামীর সাথে বেশ কিছুদিন থেকে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমার সাথে ফোনেও কথা বলছে না। আমরা দুজনে বিয়ে করেছি এটাও তার বাড়ি থেকে মেনে নিচ্ছে না। তাই একটা সঠিক ফায়সালার জন্য আমি আজ এখানে এসেছি। আমি আমার পুত্রবধূর স্বীকৃতি পেতে চাই। যতক্ষণ এর কোন সঠিক ফায়সালা হবে না, ততক্ষণ আমি এখানেই থাকবো। সোনিয়া আরো বলেন, আমার স্বামী আমার সাথে প্রায় সাত থেকে আট দিন যাবত কোন যোগাযোগ করছে না। তাকে কোথাও খুঁজেও পাচ্ছিনা। মোবাইলের তিনটি নাম্বার ছিল যা সব সময় বন্ধ পাচ্ছি। এই কারণে স্বামীর বাসায় যাই। এবং পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবি জানাই। আমি জানিনা কেন আমার স্বামী আমার সাথে আর যোগাযোগ করছে না।
সোনিয়া আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার স্বামীর সাথে দেখা করতে এবং পুত্রবধূর দাবি নিয়ে আহসান হাবীবের বাসায় গেলে, সেখানে আহসান হাবিবের মা, ভাবি, তিনজন চাচী, ও এক বোন মারধর করে ব্যাগ, মোবাইল কেড়ে নিয়েছিল। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় তা পরবর্তীতে ফেরত পেয়েছি।
এছাড়াও ভুক্তভোগী সোনিয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে, আহসান হাবিবের মা, ছেলেকে সোনিয়ার সাথে মিশতে এবং তাকে বাড়িতে আনতে নিষেধ করেছেন। আহসান হাবিবের বাবা-মা মূলত সোনিয়াকে বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। এমনটাও অভিযোগ করছেন সোনিয়া।
এদিকে আহসান হাবীবের পিতা-মাতা তারা বলেন, আমার ছেলেকে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে, সোনিয়া নিয়ে গিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেছে। কিছু লোক সিন্ডিকেট করে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে এমনটাই বলছিলেন আহসান হাবিবের পিতা-মাতারা।
মুঠো ফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন তিনি বলেন, তারা দুজনে বিয়ে করেছেন, এখানে স্বীকৃতির দাবি কিসের, ছেলে স্বীকৃতি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু, ছেলের পিতা বাসায় উঠতে দিচ্ছে না। ছেলে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেই দুজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। ছেলে স্বীকৃতি না দিলে, সে জন্য আইন আছে ইচ্ছে করলে ওই মেয়ে মামলা করতে পারেন। তার জন্য আইন আছে আইন সহায়তা করবে।