সাইফুল ইসলাম, (বাগমারা প্রতিনিধি) রাজশাহী। রাজশাহী জেলায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী ও সমাজকর্মী নির্বাচিত হলেন অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাজশাহী জেলায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী ও সমাজকর্মী নির্বাচিত হন। অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের বাসা বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের নরদাশ গ্রামে। বর্তমান তিনি নরদাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পানিয়া নরদারশ ডিগ্রী কলেজের সুনামধন্য অধ্যক্ষ। সেই সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের বাড়ি নরদাশ ইউনিয়নের নরদাশ গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার বারের সফল সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আরকেএম মোসলেম উদ্দীন মিয়ার সুযোগ্য সন্তান। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, বাবার আর্দশকে ধারণ করে জনসেবার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার পানিয়া নরদাশ ডিগ্রী কলেজের দায়িত্ব নেবার পর থেকেই কলেজের রেজাল্ট দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি নরদাশ ইউনিয়নের জনসাধারনের কাছে আইডল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও সুখে দুঃখে ইউনিয়নের মানুষের সেবায় ব্যস্ত থাকেন। এর আগেও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পদক ২০১৯ লাভ করেন। মানব সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি থেকে মানবাধিকার শান্তি পদক ও সম্মাননা সনদপত্র এবং সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা স্মৃতি সম্মাননা সনদ ২০২২ লাভ করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় হতে প্রকাশিত তালিকায় গোলাম সারওয়ার আবুলকে শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির মাধ্যমে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা জেলায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উক্ত কমিটি মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে যাছাই বাছাই করে প্রতি উপজেলার তালিকা হতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মৌখিক পরীক্ষা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানাগেছে।