নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়ার ১০ মাস পরে কম্পানির চেয়ারম্যানের কাছে অর্থ দাবি করে প্রতারনার মামলা করে হয়রানি করছে এক যুবক। রাজশাহীর নিউ টাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান রনি রাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে তার কম্পানির সাবেক সিইও আকতারুজ্জামান প্রিন্স। সে সিইও পদে চারকি থেকে অব্যহতি পত্র দেয়ার পরেও কম্পানির চেয়ারম্যান কে ব্লেকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন রাজশাহী নিউ গ্রুপ টাইম কম্পানির চেয়ারম্যান রনি রাজ হোসেন।
জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পচামাড়িয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আক্তারুজ্জামান প্রিন্স কে নিউ গ্রুপ টাইমস গুপের চেয়ারম্যান রনি রাজ হোসেন গত ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে নিউ টাইমস গ্রুপের অধিনে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। সে খানে চাকরি করার পরে গত ২০২০ সালে ৮ আগস্ট প্রিন্স কে নিউ টাইমস গ্রুপের সিইও পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
তাকে নিয়োগ দেয়ার পরে ১ বছর ৯ মাস চাকরির বেতন ভাতা কম্পানি বিকাশে ও নগদ টাকা দিয়ে পরিষধ করে। দীর্ঘ দিন সিইও পদে থাকা কালিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতি ও গ্রুপের লক্ষাধিক টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি তদন্ত করে তার অনিয়মের প্রমান পেলে গুপের চেয়ারম্যান প্রিন্সকে বিষয়টি অবহিত করলে সে অস্বীকার করে এবং নিজ ইচ্ছায় গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে তার ইমেল থেকে গ্রুপের চেয়ারম্যানের ইমেলে তার সিইও পদের চাকরি থেকে অব্যহতি পত্র পাঠান। অব্যহতি পত্রে উল্লেখ করেন তার সাথে গুপের কোন দেনা পাওনা নেই। সে ইচ্ছাকৃত ভাবে অব্যহতি পত্র দিয়েছে।
এদিকে চাকরি থেকে অব্যহতি নেয়ার এক বছর পরে হটাৎ গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলা আমলি বোয়ালিয়া আদালতে আক্তারুজ্জামান বাদি হয়ে রনি রাজ ও তার স্ত্রী ও তার ব্যবসায়ী পার্টনার নরুল ইসলামকে আসামী করে মিথ্যা প্রতারণা ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করে মামলা করে। মামলা টি আদালত পিবিআই রাজশাহীকে তদন্ত ভার প্রদান করে।
এ বিষয় নিউ টাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান রনি রাজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জীবনে চলার পথে দেনা পাওনা থাকতে পারে। আমারও আছি। পরিষধ করেছি যারা টাকা পেতেন আমার কাছে।
তিনি বলেন, আতিকুজ্জামান প্রিন্স একট টাউট প্রকৃতির ছেলে। ১ বছর ৯ মাস চাকরি করে আমার কম্পানিতে। চাকরি থেকে অব্যহতি নেয়ার ১০ মাস পরে আদালতে মামলা আমি ও আমার স্ত্রীসহ ৩ জনের নামে। সে একজন প্রতারক। দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে সে আমার কাছে থেকে অর্থ আদায় করার চেস্টা করছে। সমাজে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। গনমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য আমার বিরুদ্ধে দিয়ে সংবাদ প্রচার করে আমার সম্মান হানি করেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রিন্স আমার স্ত্রীকে মোবাইলে ও ফেসবুকে আমার স্ত্রীর বাজে ছবি দিয়ে যৌন হয়রানি করেছে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী আরএমপি সাইবারক্রাইম ইউনিয়ে ও বোয়ালিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
এ বিষয় আতিকুজ্জামান প্রিন্স বলেন, অনেক দিন আগে রনি স্যার কে বলেছিলাম আমার ও আমার বন্ধু সাব্বিরকে কিছু টাকা দেন। সেই সময় সে টাকা দেইনি। উল্টা আমাকে হুমকি দিয়েছে তাই মামলা করেছি।
চাকরি থেকে অব্যহতি নেয়ার বিষয় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরি থেকে অব্যহতি নিয়েছি। কিন্তুু চাকরির বেতন নিবো না সে টাতো লিখিনি। তার সাথে আদালতেই বোঝা পড়া হবে বলেও জানান তিনি।