মায়ের লাশ হাসপাতালে রেখে ওসির সহায়তায় পরীক্ষায় দিলো মেয়ে

এক হৃদয় বিদারক ঘটনা, কি করুন অবস্হা! হাসপালে নিজের মায়ের মৃত্যু দেখে, ওভাবে লাশ রেখে, পুরোপুরি থানার ওসির সহায়তায় পরীক্ষায় বসতে হলো এক সন্তানের…More

 

বিডি নিউজ২৩: পানছড়িতে হাসপাতালে মায়ের মৃত্যু, পানছড়ি থানার ওসির সহযোগিতায়  বুকে কষ্ট নিয়ে  এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিল সন্তান।

 

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় সাঁওতাল পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম এর সহধর্মিণী ও মোঃ ইব্রাহীম এর মা মৃত্যু বরণ করেছেন ।আর এইদিকে মায়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মেয়ে সুমাইয়া আক্তার অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।তারপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সেলাইন ও ঔষধ দেন।

 

অন্যদিকে আজ তার এসএসসি  বাংলা দ্বিতীয় পত্র  পরীক্ষা।সবাই শোকে কাতর। আর এই দিকে  মর্মান্তিক ঘটনার খবর পান পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম। তৎক্ষনাৎ তিনি তাকে তার নিজস্ব গাড়িতে সেলাইন দেওয়া অবস্থায় মানসিক সাপোর্ট ও উৎসাহ দিয়ে পরীক্ষার সেন্টারে নিয়ে যান।চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। সে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী। 

 

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন মা।আর এইদিকে মায়ের মৃত্যুতে পুরো পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

 

পানছড়ি সরকারি  মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেলি চাকমা বলেন:এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারকে আমি  শান্ত হয়ে পরীক্ষায় উত্তরপত্র করার জন্য মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছি।কোন রকম অসুবিধা চোখে পড়েনি তার।আমরা সর্বক্ষণ তার দিকে দৃষ্টি রেখেছি।

 

পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনচারুল করিম বলেন,অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। এই মেয়ে এস এস সি পরীক্ষার্থী। আজকেই তার মা মারা গেছে।মেয়েটা হসপিটালে ছিল।আমি নিজেই হসপিটালে গিয়ে মেয়েটাকে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় নিজের গাড়িতে করে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পর দ্রুত কেন্দ্রে দিয়ে আসি।পরীক্ষার টেবিলে নিজেই বসিয়ে দিয়ে আসি।তার মায়ের মৃতদেহ ঘরে রেখে মেয়েটা এখন ভালই পরীক্ষা দিচ্ছে।। 

 

জানা যায়,দীর্ঘ মাস ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন এই সন্তানের মা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *