বিডি নিউজ২৩: আগামী মাসেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। আর তাই তো প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহী জেলার সবকাটি উপজেলার প্রতিমা শিল্পীরা।
হঠাৎ করেই কাজের চাপ বেড়ে গেছে কারিগরদের। রাতদিন পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন দেবী দুর্গাকে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যেন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত না হয় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাশাপাশি করোনা কালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরাও মেতেছেন তাদের কারুকাজ দিয়ে দেবী দূর্গার আসন, ভক্তদের মঞ্চ, আলোকসজ্জা, সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার কাজে।
সরেজমিনে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সহ বেশ কিছু উপজেলার প্রতিমা তৈরির স্থানে গিয়ে দেখা যায়, মনের মাধুরী মিশিয়ে কারিগররা নিখুঁতভাবে তৈরি করছেন দুর্গা দেবীর প্রতিমাকে। পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক, অসুর, সিংহ, মহাদেবসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজ। কোনো মন্ডপে কাঠামো তৈরি হচ্ছে, কোথাও বা করা হচ্ছে মাটির কাজ।
স্বপন কুমার পাল ও তপন কুমার পাল নামের দুজন শিল্পী বলেন, ‘সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কাজ করছি। করোনার কারণে গত বছর প্রতিমা কম তৈরি করেছিলাম। কিন্তু এ বছর বেশি বানাচ্ছি।’
অমৃত কুমার বলেন, প্রতিমা তৈরিতে এঁটেল ও বেলে মাটি ছাড়াও বাঁশ-খড়, দড়ি, লোহা, ধানের কুড়া, পাট, কাঠ, রং, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি-কাপড়ের প্রয়োজন হয়। এবার প্রতিমা তৈরির সব মালামালের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এবার খরচ একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
পুরোহিত জিতেন্দ্রনাথ গোষামী জানান, ১ অক্টোবর মহাষষ্টি মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এবং ৫ অক্টোবর মহাদশমী বির্ষজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। আর মা দূর্গা’র আগমন ঘটবে হাতি’তে এবং গমন করবেন নৌকায়।
পুঠিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে, বছর পুঠিয়া উপজেলায় ৫১ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। এর মধ্যে পুঠিয়া পৌরতে ১৪ টি, জিউপাড়া ইউনিয়নে ১০ টি, শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে ১৯ টি, ভালুকগাছি ইউনিয়নে ৪ টি, বানেশ্বর ইউনিয়নে ০৪ টি।
পুঠিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার নিয়োগী জানান, এবারে আমাদের উপজেলায় ৫১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দিরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গো উৎসব পালনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (পুলিশ) প্রস্তুত রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।