• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঘুষকাণ্ডে দালালির দায়ে সাসপেন্ড হিটলার মার খেয়ে মামলা করে আপোসও করে তিনিই! পুঠিয়ায় ট্যাপেন্টাডল সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা পুঠিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুরে মাছ শিকার! প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, দলীয় ঐক্য গড়ুন: আরিফ-শাকিল বাগমারায় আ.লীগ নেতা ও ক্যাডার আক্কাস আলী মাস্টার গ্রেফতার দখলদার হিটলার-বুলবুল গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা রাজশাহী বাঘায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখল মুক্ত করতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি

রাজশাহীর পবায় জাল দলিলে পিতার সম্পত্তি আত্মসাত চেষ্টা প্রতারক কারাগারে

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
রাজশাহীর পবায় জাল দলিলে পিতার সম্পত্তি আত্মসাত চেষ্টা প্রতারক কারাগারে
রাজশাহীর পবায় জাল দলিলে পিতার সম্পত্তি আত্মসাত চেষ্টা প্রতারক কারাগারে

মোস্তাফিজুর রহমান জীবন রাজশাহীঃ রাজশাহী পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়নের কলার টিকর এলাকায় নিজ ভাই ও বোনদের ফাঁকি জাল দলিলে বাবার সম্পত্তি আত্মসাতের ঘটনায় বোনের দায়ের করা মামলায় প্রতারক হাসান আলী রাজশাহী কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

 

হাসান আলী দামকুড়া ইউনিয়নের কলার টিকর এলাকার মরহুম আবু বাককার সিদ্দিকের ছেলে।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে,রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া ইউনিয়নের কলার টিকর এলাকার মরহুম আবু বাককার সিদ্দিক পবা উপজেলার গোসাইপুর মৌজায় আর.এস ৯ ও ১০ নং খতিয়ানের ১৩৭, ১৩৮ ও ১০৭/১৬৩ নং দাগে মোট ২.১৫০০ একর ভিটা জমি ক্রয় করেন। যার দলিল নং ১১২৮৫, তারিখ ১৪/৭/১৯৬৪ ইং এবং দলিল নং ৮৭৫৮, তারিখ ১৩/৩/১৯৭২ ইং।তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় তার বড় ছেলে হাসান আলী বাবার সমস্ত জমিজমা দেখাশুনা করতেন। ১১/০১/২০১০ ইং তারিখে আবু বাককার সিদ্দিক এক স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৭ মেয়ে ওয়ারিশ রেখে মারা যান। বাবার মুত্যুর পর হাসান আলী প্রতারণা করে ২.১৫০০ একর জমি বাবাকে দাতা দেখিয়ে ১৯/৯/১৯৮০ ইং তারিখে ২৪১৪৩ নম্বরের একটি জাল দলি তৈরি করেন। ভাই ও বোনদের ফাঁকি দিতেই এই জাল দলিল তৈরি করা হয়। এরপর গত ৯/৪/২০২১ ইং তারিখে ওই দলিল খারিজের জন্য পবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে আবেদন করেন হাসান আলী। যার খারিজ কেস নং ১৪৩১৪/৯-১/২০-২১।

 

বিষয়টি জানার পর হাসান আলীর বোন (মামলার বাদী) ও ছোট ভাইয়েরা সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে ওই দলিলের জাবেদা কপি সংগ্রহ করে তারা জানতে পারেন উক্ত ২৪১৪৩/১৯৮০ নং দলিলে দাতা মোসা: ফাতেমা বেওয়া ও মো: আব্দুল মজিদ এবং তাদের টিপ নম্বর ১৬৫৬৭ ও ১৬৫৬৮। কিন্তু বাদীর ভাইয়ের জাল দলিলে দাতার টিপ নম্বর ১৫৫১০ দেখানো হয়েছে। অথচ ১৫৫১০ নম্বরের টিপ সম্বলিত দলিলের নম্বর ২১৮১১/১৯৮০ এবং দাতা মোসা: আলিমুন্নেছা বিবি ও গ্রহিতা মো: আব্দুস সামাদ গাজী দিং এবং বিক্রীত সম্পত্তি পবা উপজেলার বিল নেপালপাড়া মৌজাধীন। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হাসান আলীর জন্ম তারিখ ২৫/১০/১৯৮২। অথচ তার বাবার দেওয়া ওই জাল দলিল সম্পাদনের তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯/৯/১৯৮০ ইং। কাজেই জন্মের আগে বাবার নিকট হতে জমি নেওয়া বাস্তবাতা বিবর্জিত এবং চরমভাবে প্রতারণার শামিল। আসামী হাসান আলী বাবার সম্পত্তি গ্রাস করার হীন উদ্দেশ্যে জাল দলিল তৈরি করে দন্ড বিধি ৪৬৫/৪৬৭/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছে মর্মে তার বড় বোন জান্নাতুন নেসা বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আল মমিন বিল্লা জানান,এ মামলায় গত বুধবার আসামী হাসান আলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.