পুঠিয়ায় আন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি বেধড়ক পিটুনি বাচ্চা নষ্টের অভিযোগ

রিপোর্ট শাহাদত হোসাইন, (রাজশাহী) বিডি নিউজ২৩: রাজশাহীর পুঠিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গর্ভবতী মা’কে পেটে বেদম প্রহার লাথি ও স্বামী-স্ত্রী দুজনকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ব্যাপকভাবে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।

 

গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, আহত সাইফুল ইসলাম উপজেলার গন্ডগোহালীর দেহের পাড়ার বদর উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। ভুক্তভোগী আহত সাইফুল ইসলাম, লিমা খাতুন ও তার প্রতিবেশীরা জানান, প্রতিবেশী কাউসার এর কাছ থেকে সাইফুল ইসলাম (৩৫) প্রায় চার শতকের মত ভিটা জমি ক্রয় করেন। সেই বাগান ভিটা থেকে কাঁঠালের পাতা কাটতে গেলে, প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম (৫০) ও তার দুই ছেলে রাসেল (২২) ও সজীব (১৮) ও তার স্ত্রী হঠাৎ করে এসে সাইফুলের উপর আক্রমণ করে। পরে সাইফুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে তার স্ত্রী লিমা খাতুন, পরে সাইফুলের গর্ভবতী স্ত্রী লিমা খাতুন সহ দুজনকে বেধড়ক মারধর করে। শহিদুল তার দুই ছেলে ও তার স্ত্রী।

 

এছাড়াও অভিযুক্ত শহীদুল ইসলামের প্রতিবেশীরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছেন, শহিদুল ও তার দুই ছেলে মিলে মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশীদের সাথে এবং নিজের আত্মীয়দের সাথে ঝগড়া বিবাদ মারামারি করে। ঝগড়া বিবাদ মারামারির বিস্তার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত শহীদুলের উপর। কিছু বিষয় স্থানীয়ভাবে ফায়সালা হলেও কিছু বিষয় স্থানীয়ভাবে এখনো অমীমাংসিত। এমনটাই বলছেন অভিযুক্ত শহিদুলের বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীরা।

 

গতকাল সকালে আহত লিমা খাতুনকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।

 

ভুক্তভোগী গর্ভবতী লিমা খাতুন তিনি জানান, তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তার পেটে সজোরে লাথি মারা হয়েছে। অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে মিলে লিমা খাতুনকে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে। যার কারনে ডাক্তার প্রাথমিকভাবে বলছেন হয়তো পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে, মারধরের পর থেকে লিমা খাতুন এর প্রচুর ব্লেডিং হচ্ছে।

 

ভুক্তভোগী আহত সাইফুল ইসলাম তিনি বলেন, সেদিন ছিল তাহেরপুরের হাট আমি আমার বাসায় পালিত ছাগল তাহেরপুর হাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার কেনা ভিটা থেকে ছাগলের জন্য কাঁঠালের পাতা নিয়ে আসতে যাই। হঠাৎ অতর্কিতভাবে আমার উপর পরে আমার আন্তঃসত্তা গর্ভবতী স্ত্রীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে এবং তার স্ত্রী। এ সময় আমার বাড়ি থেকে অটো গাড়ি বিক্রি করা, এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা শহিদুল ও তার দুই ছেলে তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে তারা লাথি মেরেছে এবং মারধর করেছে তার অবস্থা খুবই খারাপ প্রথমে পুঠিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

 

এদিকে ভুক্তভোগী সাইফুল বাদী হয়ে থানায় এই বিষয়ে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার এস আই সোহেল রানা বলেন, বাদী অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বর্তমানে থানায় একটা অভিযোগ রয়েছে, তিনি থানায় আসলে চাইলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *