বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা হাসনিপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে বড় টাকার কন্টাকে জমি দখল করতে গিয়েছিলেন।
এসময় নিজের জমি রক্ষা করতে গেলে আশরাফুল,মাহাবুর, ইয়ানুছ,ইমন,আছিয়া কারিমা,আলেয়া পুলিশের সামনে সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়।
এসময় তার গায়ের গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে ও গায়ে হাত তুলে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত সেই সাথে প্রাণনাশের হুকমি দেয়।
এলাকাবাসি ও অভিযোগ বিষয়ে জানা যায়,
১৯৭০ সালে কুকন প্রামানিকের নিজের তফসিল ভুক্ত জমি কবির প্রামানিকের কাছে বিক্রয় করে যার মুল দলিল সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৭১ সালে আত্রাই অফিস পুঁড়ে যাওয়ার কারনে কবির প্রমানিকের নামে জমি খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হয়নি। যার দায়ভার সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের।
জমি কেনার পর থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত জমি কবির ও তার ওয়ারিশ গন ভোগ দখল করে আসছে। কুকনের মৃত্যুর পর তার একমাত্র ওয়ারিশ আবুল কাশেম জমি পাবে বলে ২০১২ সালে রাজশাহী কোটে পরপর তিনটি মামলা করেন।কবির প্রামানিকের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ সুত্রে আব্দুল জলিল দিঃ কে আসামি করা হয়।
আসামি গন সকল কাগজ পত্র কোটে দাখিল করলে আদালত পরপর তিনটি মামলার রায় আব্দুল জলিল এর পক্ষে দেন এবং বাদি পক্ষকে আজীবন এই তফসিল ভুক্ত জমি রামরামা হাসনিপুর জেএল ২৫৬ সাবেক ২৮৪ হাল ৪৪৩,৪৪৪ দাগের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
আবুল কাশেম এর মৃত্যুর পর হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে রায়ের ৮ বছর পর
গতকাল ১ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করলে তারা ব্যার্থ হন।
এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক কে যেখানে পাবে জানে মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্য জনসাধারণের সামনে হুমকি দেন ও হামলা চালায়। যার ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আইসি জিলালুর রহমান সহ পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে সেই দিন উভয় পক্ষ কে সকল কাগজ পত্র নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে হাজির হতে বলেন।এবং সকলকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত সাংবাদিক বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এমন ঘটনা ঘটতে পারে জানতে পেরে গত ৩০ শে আগষ্ট বাগমারা থানার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
তার পরের দিন কোটের দেওয়া ১৪৪ ধারা অমান্য করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে জমি দখলে এসে আমার উপর হামলা সত্যি মেনে নেবার মতে নয়। আমার উপর হামলার ঘটনায় আমি বিচারের জন্য বাগমারা থানায় সাধারন ডায়েরী করেছি আশা আইনের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হবে।আমি সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আইসি জিলালুর রহমান বলেন, উভয় পক্ষের উপস্থিত,গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাগজ পত্র ও কোটের দেওয়া রায় যাচাই করে জমির মালিক আব্দুল জলিল দিঃ।অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন আশরাফুল সহ তার ওয়ারিশগন। কোটের দেওয়া রায় অমান্য করে আশরাফুল সহ তার ওয়ারিশ গন জমি দখলে গিয়েছিল তা সম্পুর্ন বেআইনি। সাংবাদিক এর উপর হামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন,
বিষয়টি শুনেছে। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন ওসি।