• মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২০ অপরাহ্ন
Headline
সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে পুঠিয়া দুর্গাপুরে গনসংযোগ করলেন মুনি পুঠিয়ার ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলো যেনো ঘুষের স্বর্গ রাজ্য, ছাড় পায় না ভিক্ষুকও রংপুরে উইঘুর মুসলিম নির্যাতন ও চীনের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন নরসিংদীতে পরিক্ষা শেষে আর বাড়ি ফেরা হলো না এক এইচএসসি পরিক্ষার্থীর ফ্রিল্যান্সারদের ওপর কোনো কর আরোপ করা হয়নি: জুনাইদ আহমেদ পলক বাগমারায় এক আনসার ও তার ভাতিজা হেলালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসি বিদেশ যেতে হলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে, কোর্টে যেতে হবে হোটেলে ভাত খেয়ে ৩ লাখ টাকা বিল বাকি ছাত্রলীগ নেতার, থানায় অভিযোগ পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসে বোমা হামলায় ৫০ অধিক নিহত প্রদেশটিতে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে…. রাজশাহীর পুঠিয়ায় নানান আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন

এক বছরে প্রতি পরিবারকে গড়ে ৬ হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছে: টিআইবি

Reporter Name
Update : বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২
এক বছরে প্রতি পরিবারকে গড়ে ৬ হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছে: টিআইবি
এক বছরে প্রতি পরিবারকে গড়ে ৬ হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছে: টিআইবি

বিডি নিউজ২৩: দেশের সেবা খাতে প্রায় ৭১ শতাংশ খানা (পরিবার) দুর্নীতির শিকার হচ্ছে বলে এক জরিপে তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, বিভিন্ন সেবা পেতে প্রতিটি পরিবারকে গড়ে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে দেশে সাধারণ মানুষদের সেবা পেতে ঘুস দিতে হয়েছে ১০ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। 

 

টিআইবি আরও জানায়, মোট ১৭টি সেবা খাতে এই ঘুসের টাকা দিয়েছেন সাধারণ মানুষজন। এ সময় দেশে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত ছিল পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থা।

 

টিআইবির ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

 

বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। 

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে মাথাপিছু ঘুস দেওয়ার পরিমাণ ৬৭১ টাকা।প্রতিবেদনে মোট ১৭ ধরনের সেবা খাতের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। 

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেবাগ্রহীতাদের অভিজ্ঞতামূলক জরিপে ১৫ হাজার ৪৫৪টি খানা অংশগ্রহণ করে। এই দুর্নীতির সময়কাল ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে ঘুস, জোরপূর্বক অর্থ আদায়, প্রতারণা, দায়িত্বে অবহেলা, স্বজনপ্রীতি, সময়ক্ষেপণসহ বিভিন্ন হয়রানি।

 

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার মাধ্যমে। দ্বিতীয় সাড়ে ৭০ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে পাসপোর্ট খাতে। এরপর রয়েছে বিআরটিএ, বিচারিক সেবা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং ভূমিসেবা।

 

প্রতিবেদনে জানানো হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭২ দশমিক ১ শতাংশ মনে করেন, ঘুস না দিলে সেবা পাওয়া যায় না। তারা ঘুস দেন হয়রানি বা ঝামেলা এড়াতে। খানাপ্রধানের প্রতিবন্ধিতা থাকলে দুর্নীতি ও ঘুসের শিকার হওয়ার প্রবণতা বেশি। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা কম দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৫৬ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরা।

 

এতে জানানো হয়, দুর্নীতির শিকার হলেও অভিযোগ করেননি ৭৯ দশমিক ২২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ অভিযোগ করেননি ঝামেলা বা হয়রানির ভয়ে। সব খানেই দুর্নীতি- তাই অভিযোগ করার প্রয়োজনবোধ করেননি ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। 

 

জরিপ প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সাড়ে ১৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। তবে ৭২ শতাংশ অভিযোগের ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Recent Comments

No comments to show.