বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলী।
বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ কর্তৃক উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি পাপিয়া আক্তার (পাপড়ি )র সভাপতিত্বে সহঃপ্রভাষক সেলিম রেজার সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে আক্কাস আলী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন দেশের মাটিতে এসে ১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা স্বাধিনতার জন্য জীবন দিয়েছেন, আমিও হয়তো এদেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়ে যাবো।
আক্কাছ আলী আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু সহ তার সহপরিবারকে হত্যা করা হয়েছে এই খবরটি জিয়াউর রহমান শোনার পর বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি মারা গেছে তো কি হয়েছে? ভাইস প্রেসিডেন্ট যিনি আছে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক । পুনরায় নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোন সেনাবাহিনী যেন ব্যারাক থেকে বাহির না হয়। এতেই বোঝা যায়, জিয়াউর রহমান ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল খলনায়ক।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ মাস শোকের মাস। এ মাসে বিভিন্ন সরকারি,বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত,আধা শায়িত্ব, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ ব্যাক্তিগত পর্যায় থেকে যার যার অবস্থান থেকে শোক পালন করতে হবে। আমরা মাসব্যাপি শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, দল আজ ক্ষমতাসিন থাকার পরেও শোক দিবসের আলোচনা সভার জন্য চন্ডিপুর বিদ্যালয়ের মাঠ চাইলে আমাদের কে মাঠ বরাদ্দ দেয়া হয়নি । আমরা চাইলে বিদ্যালয়ের মাঠেই আজকের আলোচনাসভার অনুষ্ঠান করতে পারতাম। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমরা সংঘাত চাইনা। তাই বিদ্যালয়ের মাঠ বাদ দিয়ে এখানে প্রোগ্রাম করছি। সাংবাদিক ভাইদের নিকট বিনিত নিবেদন, কার ইশারায়, কার নির্দেশনায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠ বরাদ্দ দেয়া হয়না, কার ইশারায় লোকজন কে ভয়ভিতি প্রদর্শন করা হয় প্রোগ্রাম না করার জন্য এই বিষয়গুলো আপনারা খতিয়ে দেখে জাতির সামনে তুলে ধরুন। ওদের মুখোস উন্মোচন করুন।
সবশেষে তিনি বলেন, আগামি জাতীয় নির্বাচন কে ঘিরে সেই খুনি ঘাতকচক্র জামাত বিএনপি আবার ষড়যন্ত্র করার, আবার জ্বালাও পোড়াও করবার পাঁয়তারা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আপনারা বারবার হত্যার চেষ্টা করেছেন। আল্লাহর অশেষ কৃপায় তিনি আজও বেঁচে আছেন । তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামীলীগ আজ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী। আমাদের প্রানপ্রীয় নেত্রীর প্রতি, আওয়ামীলীগের প্রতি আপনাদের সকল ধরনের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের প্রভাষক ও সাবেক উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোকাদ্দেস, ৩ নং পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক (সাবেক) মেরাজুল ইসলাম মেরাজ প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাঘা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম টগর, সাবেক ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জুবান মালিথা,৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কালাম সরদার,১নং ওয়ার্ড আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা , দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন,৩নং সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ কমল পান্ডে, মনিগ্রাম বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক দোলেনা শেখ, যুব আওয়ামীলীগ মহিলা নেত্রী নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, ছাত্রনেতা জাহাঙ্গির আলম শ্যাম্পু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তা, ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম,সেলিম রেজা মাখন, সাইফুল ইসলাম রবি, স্বজল, সুলতান আলী, সোহাগ রানা সহ সর্বস্তরের নারি ও পুরুষ।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার সহ জাতীয় চার নেতা এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জন শহীদসহ দেশের তরে জীবন উৎসর্গকারি সকল শহিদ আত্বার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন, বাঘা থানা আওয়ামী ওলামালীগ সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মেহেদি হাসান মিনার।