বাঘায় সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর ২১শে আগষ্টের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
রাজশাহী ব্যুরোঃ বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেন একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-বিএনপির দোসররা। ১৫ আগষ্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগষ্টের এই গ্রেনেড হামলা।
রাজশাহীর বাঘায় রবিবার (২১ আগষ্ট) বিকেলে গ্রেণেড হামলা উপলক্ষে বাঘা উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামে মনিগ্রাম বাজার প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে রাজশাহী আওয়ামীলীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সভাপতিত্বে ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও ৩নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক সহ-সভাপতি প্রভাষক আমিরুল ইসলাম,বাঘা উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী,মনিগ্রাম বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক আফাজ উদ্দীন ও আওয়ামী লীগের সহোযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তাঁর মৃত্যু নেই, তিনি চিরঞ্জীব। সমগ্র জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করেছিলেন ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে সশ্রস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই বাঙালি জাতির চেতনায় তিনি চিরঞ্জীব।”১৫ আগষ্ট ৭৫ সালে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে এই দেশে খুন,গণহত্যার রাজনীতি শুরু করেন তৎকালীন মোশতাক অনুসারীরা। সবগুলো হত্যাকান্ডের বৈধতা দেন ইন্ডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আমলে ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট আরেকটি নৃশংসহ ঘটনা সংগঠিত হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট এই দিনে গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এ্যাভেনিউ। শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিত গ্রেনেড হামনায় নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতির স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন শেখ হাসিনাসহ ৫’শ নেতাকর্মীও অনেক সাংবাদিক। এ হামলা ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশুন্য করতে তথা সংগঠনকে নিঃশেষ করতে এই হামলা।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম টগর,সাবেক ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন শ্যাম্পু,মাইনুল ইসলাম মুক্তা,দলিল লেখক জহুরুল ইসলাম স্বপন,দলিল লেখক আঃসালাম,ত্যাগী কর্মী শাহীন,আজম,তহিদুল ইসলাম তহিদ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ের হাজার হাজার মুজিব প্রেমি জনতা।
দোয়া শেষে সবার মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন বাঘা উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম।