বিডি নিউজ২৩: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি’তে) ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ। কক্ষে ডেকে নিয়ে এক শিক্ষার্থীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে ছাত্রলীগ ওই নেতার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সামছুল।
অভিযুক্ত ওই নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মতিহার হলের ১৩২ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সামছুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি মতিহার হলের ১৫৯ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্র।
লিখিত অভিযোগে সামছুল ইসলাম জানান, তিনি মতিহার হলের ১৫৯নং রুমের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি হলের ভেতর মোবাইল সার্ভিসিং করে নিজের খরচ ও পরিবার চালান। গত ১৫ই আগস্ট মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা তাকে ফোন দিয়ে দেখা করার কথা বলেন। তার কাছে গেলে তিনি চাঁদা দাবি করেন। তারপর টাকার জন্য প্রতিনিয়ত ফোন দেন এবং মানসিকভাবে টর্চার করেন। অর্থ দিতে অক্ষম হওয়ায় শুক্রবার বিকাল ৩টায় ভাস্কর সাহার কক্ষে ডেকে নিয়ে তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেন এবং আরও ৬ হাজার টাকা দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের জানানোর কথা বললে তাকে রড এবং স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়কভাবে মারা হয়। এছাড়া কাউকে জানালে আবরারের যে অবস্থা হয়েছে সে অবস্থা হবে বলে হুমকি দেন। রাত ১১টার মধ্যে আরও ৬ হাজার টাকা না দিলে হল থেকে বের করার হুমকি দেয়া হয়। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা বলেন, তার সঙ্গে আমার এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি জানি, তিনি আমার হলে মোবাইল সার্ভিসিং করেন। মোবাইল ঠিক করার জন্য আমার দুই ছোট ভাই তাকে ফোন দেয়ার কথা বলেন। পরে সে বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টা আমরা দেখছি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেব।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।