• সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাজশাহীতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের এবার প্রতীকি ক্লাস ও বই পড়া কর্মসূচি আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে তাহেরপুর পৌরসভায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গণপিটুনিতে মৃত্যু রাজশাহীতে অধ্যক্ষের সাথে নারী প্রভাষকের পরকীয়ার সময় ধরে থানায় দিল জনতা দুর্গাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল প্রতিনিধিদের দৌরাত্বে অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা রাজশাহীতে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন গণঅধিকার পরিষদ ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পাওয়ায় মানিকগঞ্জে আনন্দ মিছিল রাজশাহীর দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমাজের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাগমারার সাবেক এমপি-মেয়রের বিভিন্ন অপকর্মের বিচার চেয়ে মানববন্ধন পুঠিয়ায় হাসিনা, কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ ১৮১ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের

ছেলেকে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে দুই মায়ের নগ্ন ভিডিও নেয় বেনিয়ামিন

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২
বিডি নিউজ২৩
ছেলেকে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে দুই মায়ের নগ্ন ভিডিও নেয় বেনিয়ামিন

বিডি নিউজ২৩: ছেলেকে মাদকসহ আটক করা হয়েছে, এই কথা বলে করা হয় ফোন। এরপর পুলিশ পরিচয়ে শুরু হয় দেন-দরবার। ফোনে ফোনে মুহূর্তেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতো প্রতারক বেনিয়ামিন। এভাবে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে টাকা আত্মসাতের এমন ফাঁদ দেখে অবাক খোদ গোয়েন্দারাও।

 

নিজেই পুলিশ অফিসার আবার নিজেই আসামি। এমন অভিনয় করে ফোন দেয়া হতো বিত্তশালী অভিভাবকদের। ফোন দিয়ে তারা মা-বাবাকে এমন কথা বলে ব্যস্ত রাখতো যে, তাদের ছেলে সত্যিই পুলিশের কাছে আটক হয়েছে কিনা তা দেখার সুযোগ দিতো না প্রতারক চক্র। এরপর শুরু হতো ছেলেকে ছাড়ানোর দেন-দরবার।

 

অভিভাবকদের উৎকণ্ঠার সুযোগে প্রতিজনের কাছ থেকে নেয়া হতো ৫০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ, দুই লাখ টাকা করে। বহুরূপী এমন স্পর্শকাতর প্রতারণায় অভিযুক্ত বেনিয়ামিন। তিনি ফোনে সবকিছু চূড়ান্ত করার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিকাশ ও নগদ থেকে টাকা তুলে বেড়ায় তার সহযোগী শরীফুল।

 

এই প্রতারণা করে বেনিয়ামিন গড়ে তুলেছেন সম্পত্তির পাহাড়। তার ২ বিকাশ ও ২ নগদ একাউন্টেই পাওয়া গেছে এক কোটি ১৬ লাখ টাকার সন্ধান। ময়মনসিংহের ত্রিশালের অজপাড়াগায় নির্মাণ করছেন দুইটি বিলাসবহুল ভবন। করেছেন কৃষি ও মাছের খামারও। খামার ও বাড়ির আশপাশে প্রতিটি গাছে লাগিয়ে রেখেছেন সিসিটিভি ক্যামেরা। যাতে পুলিশ বা প্রতারিত কেউ তার খোঁজে এসেছে কিনা তা জানতে পারেন।

 

বেশ কয়েকবছর ধরে এরকম প্রতারণা করছেন বেনিয়ামিন। এ পর্যন্ত রাজধানীতে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েছেন ৬ বার। জামিনে বেরিয়ে আবারও শুরু করেন প্রতারণা। তার প্রতারণার ভয়ঙ্কর দুটি ঘটনা হলো, ছেলেকে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে দুই মায়ের নগ্ন ভিডিও নেয় বেনিয়ামিন। এরপর শুরু হয় সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল।

 

ডিএমপি ডিবির উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, পুলিশ, অধ্যাপক, সাংবাদিক বা শিল্পপতি কেউই বাদ যায়নি তার প্রতারণার তালিকা থেকে। এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে কেউ ডিবির নাম বললে তা যাচাই করে নেয়ার আহ্বান জানান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

 

বেনিয়ামিনের গ্রামের লোকজন জানতো, সে ঢাকায় বিরাট প্রভাবশালী কেউ। তাই ভয়ে তাকে নিয়ে কথা বলতো না। তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র মামলাসহ মোট ৯টি মামলার খোজ পেঁয়েছে ডিবি পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.