নিজস্বতাটা প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর বাঘায় ছাত্রীর সঙ্গে অশালিন আচরনের অভিযোগ উঠেছে এক গ্রন্থাগারিক এর বিরুদ্ধে। উপজেলার ছাতারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রী গ্রন্থাগারিক জাহিদুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম ১৬ আগষ্ট অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীর সঙ্গে অশোভনীয় আচরন করেন। এতে ওই ছাত্রী প্রথমে অভিভাবক কে জানায়। পরে ছাত্রীর অভিভাবক ওই দিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
পরদিন বুধবার বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ে মিমাংসার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় অভিযুক্ত গ্রন্থাগারিককে রক্ষার জন্য বিদ্যালয়ের বাতরুমে আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারিরা বাতরুমের দরজা ভেঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে বের করে কিলঘুষি লাথিসহ এলাপাথারি পেটাতে থাকেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বকুল সহ অন্যান্যরা তাকে রক্ষা করেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখানে পুলিশ প্রশাসন, সহকারি কমিশনার (ভুমি) জুয়েল আহম্মেদ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউ এন ও) শারমিন আখতার সেখানে উপস্থিত হয়। পরে ওই গ্রন্থাগারিককে সাত দিনের ছুটি দিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও। এরপর বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নারগিস সুলতানা বলেন, অভিযোগ পাবার পর (১৭ আগষ্ট) বসে মিমাংসার চেষ্টা করার সময় কিছু ছাত্র ও স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয়ে হামলা করে। এ সময় কিছু মারপিটের ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় চলাকালীন সময় হামলা করে অভিযুক্তকে মারধর করল এ বিষয়ে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, অভিযুক্ত ব্যাক্তি ও স্কুলের মান রক্ষার্থে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে অভিযুক্ত গ্রন্থাগারিককে বাধ্যতামূলক সাত দিনের ছুটি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক কে মুঠোফোনে কল করলে তিনি কলটি রিসিভ করে ছেলে স্বপন কে দেন। স্বপন বলেন, আমার পিতা বয়স্ক মানুষ।তাই তিনি সে সময় বিদ্যালয়ে যেতে পারেননি।আপনি জাহিদুলের সঙ্গে কথা বলেন।
অভিযুক্ত জাহিদুলকে মুঠোফোনে একাধিকবার কর করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি বিধায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে, অভিযুক্ত গ্রন্থাগারিকের এক নিকট আত্বিয় বলেন, ক্লাস রুমে ওই ছাত্রী অমনোযোগী থাকায় তাকে হালকাভাবে একটি চড় মেড়ে ক্লাসে মনোযোগী হতে বলেছে। এর বাইরে কিছু নয়। কিছু চক্রান্তকারি ব্যাক্তি পরিকল্পিতভাবে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করছে।