বিডি নিউজ২৩: ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান এ পর্যন্ত বেতন, উৎসাহ ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে কত টাকা নিয়েছেনতা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এই হিসাব আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে তাকসিম এ খানকে এমডি পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে যতদিন পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা না হবে ততদিন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ নির্দেশ দেন আদালত। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। গত ৩১ জুলাই ক্যাবের পক্ষে এই রিট আবেদন করা হয়।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৩ বছর ওয়াসা বোর্ড বিভিন্ন রেজুলেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কী পরিমাণ বেতন-ভাতা এবং টিএ-ডিএসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে বিভাগে দাখিলের জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত তা অনুমোদন করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে থাকা তাকসিম এ খান বিভিন্ন সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা পান বলে জানা গেছে।