আব্দুল মালেক, রাজশাহী: রাজশাহীতে কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী ও মেয়ের সামনেই বখাটেরা ছাত্রীর বাবাকে হাতুরি পেটা ও ছুরিকাঘাত করে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন সংলগ্ন নগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হয়ে ওই ছাত্রীর বাবা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মারধরের প্রতিকার চেয়ে থানায় যেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করতে চাইলেও মামলা নেয়নি বলে আজ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের পিতা। ভুক্তভোগী পরিবারের পার্লারের ব্যবসা তাই তাদের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে চাঁদা আদায় করতে যেতেন অভিযুক্তরা এমনটাও অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। এছাড় াও ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পিতা নিজেকে মতিহার থানার কৃষক লীগের সভাপতি ও দাবি করছেন।
হামলাকারী বখাটেরা হলো- মেহেরচণ্ডী এলাকার সামাদ মাস্টারের ছেলে প্রিন্স, ইউসুফ খানের ছেলে মিরাজ, আক্তারের ছেলে রবিন, মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে ফরহাদ, মোস্তফার ছেলে রায়হান, আলঙ্গীরের ছেলে শাকিল। চিকিৎসাধীন ছাত্রীর বাবার মাথা ও শরীরে ১৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কয়েকজন বখাটে তাকে রাস্তায় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে বাবা-মার সামনে বখাটেরা তাকে অশ্লীল কথা বলে। প্রতিবাদ করায় বখাটেরা হামলা করে ওই ছাত্রীর বাবাকে মারধর করে। এসময় বখাটেরা তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের চেন ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।