বিডি নিউজ২৩: গত কয়েকদিন আগে সোনালী চাকমা নামের একজন তার ৬ বছরের বাচ্চাকে হাটে তুলেছিলেন বিক্রি করার জন্য খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি দারুণভাবে অভাবের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন এবং কিছুটা মানসিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় একজন তাদের সেই ছবিটি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে তারপর রীতিমতো ভাইরাল হতে থাকে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর মানুষের নজরে আসে এরপর স্থানীয় অনেকেই এগিয়ে এসেছেন।
দুদিন আগে ঘটে যাওয়া সন্তান বিক্রির সেই সোনালি চাকমার বাসস্থানে পরিদর্শন করার পর মহিলা আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা বলেন, অভাবের কারণে হাট বাজারে নিজের সন্তান বিক্রির একটি খবর পেয়ে অবাক হলাম। এটা কি করে হয়। আজ নিজে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিলাম। সোনালী চাকমা মানসিকভাবে একটু অসুস্থ বটে। বৃদ্ধ স্বামীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর ভাইবোন ছড়ার পাকোজ্জাছড়িতে বাবার দেয়া জায়গায় ছোট্ট একটি ঘর তুলে থাকছে। গোয়ালঘরের সাথে লাগায়ো ছোট্টরুমটি দেখে খুব খারাপ লেগেছে। অসুস্থতা, আয় রোজগার না থাকার কারণে মানসিক ভাবে সে ভেঙ্গে যায়। তাই চঞ্চল ছয় বছর বয়সী শিশুটি রামকৃষ্ণ চাকমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাউকে দত্তক দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ায় সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আপাতত তাদের চাল, ডাল, তেল, মরিচসহ ৬মাসের খাবার সামগ্রী, কাপড় দিয়েছি। সাথে কিছু নগদ অর্থ প্রদান করেছি। শিশু রামকৃষ্ণকে সরকারি শিশু সদনে দেয়া যায় কিনা সেটি আমরা দেখব। একই সাথে একটি সরকারি ঘর দেয়ার বিষয়টিও দেখব। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন আর হতে না হয় সেই প্রার্থনা করি।
এর আগে খাগড়াছড়ির একজন স্থানীয় চেয়ারম্যান তিনি এই ঘটনাটি শুনে সোনালী চাকমাকে তার সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যান পরবর্তীতে ওই চেয়ারম্যান একজন এমপি সাথে কথা বলে সমস্যাটির সুরাহা করেন।