বিডি নিউজ২৩: নারী প্রধান শিক্ষককে ঘুসি মেরে রক্তাক্ত করলেন এটিও, হাসপাতালে ভর্তি। খাগড়াছড়িতে এক প্রধান শিক্ষিকা’কে পিটিয়েছেন সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসা। ঘটনার পর আহত শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরাকে (৪৪) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মৌসুমী ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
তিনি নিজেকে সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসার স্ত্রী দাবি করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৌসুমী ত্রিপুরা বলেন, সকালে বিদ্যালয়ের ভাঙা গেইট মেরামতের আবেদন নিয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।
দীর্ঘ সময়েও তিনি আমার বিষয়টি নিয়ে কথা না বলায় তার হাত ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এসময় ক্ষুদ্ধ হয়ে আমার উপর অতর্কিতভাবে কিল ঘুষি মারতে থাকেন তিনি। পরে অফিসের অন্যরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিথিলা বড়ুয়া বলেন, রোগীর (মৌসুমী ত্রিপুরা) বা চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেখানে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার মাথায় ব্যাথা আছে। আমরা তাকে ভর্তি করেছি।
সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসা বলেন, তিনি (শিক্ষিকা) অফিসে এসে আমার হাত-গলা ধরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় তাকে আমি অপেশাদার আচরণ করতে নিষেধ করি। এই নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে তিনি দরজায় আঘাত পান।
অন্যদিকে মৌসুমী ত্রিপুরা তাকে নিজের স্বামী দাবি করলেও সুপায়ন খীসা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, এ ঘটনায় যে জড়িত থাকবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।