বিডি নিউজ২৩/BD News23 রাজশাহীর: রাস্তা খোলা রেখে ট্রেন দিয়ে গার্ডার তোলা কতটা আইন সেদ্ধ আর এ চারটি জীবনের দায় কে নিবে এখন সারা দেশ জুড়ে এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্ব সব দেশেই কনস্ট্রাকশন এর কাজ চলাকালীন সময়ে আশপাশে নিরাপত্তা জনিত কারণে নানান রকম বেড়া ব্যবহার করা হয়। অথচ বাংলাদেশের মতো এমন একটি দেশে ফ্লাইওভার এর মত কাজ চলা কালীন জায়গায় কোন ব্যারিয়ার বা বেড়া ব্যবহার করা হয়নি।
অনেকেই মনে করছেন আগে থেকে যদি ওই এলাকা বেড়া দিয়ে সীমাবদ্ধ করে রাখা হতো তাহলে হয়তো এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো না।
রাজধানীর মালিবাগে রেলগেট সংলগ্ন ফ্লাইওভারের গার্ডার ক্রেন দিয়ে তুলতে গিয়ে হঠাৎ নিচে ছিটকে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছে। রবিবার রাত ২টার দিকে নির্মাণকাজ চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের নাম স্বপন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক প্রকৌশলী ও পথচারী। দু`জনই তাদের পা হারিয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে একজন তমা কনস্ট্রাকশনের প্রকৌশলী পলাশ। অন্য পথচারীর নাম নুরুন্নবী। দুর্ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন প্রকৌশলী পলাশ। আর উৎসুক দৃষ্টিতে নির্মাণকাজ দেখছিলেন পথচারী দু’জন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল ইমন জানান, রাত ২টার দিকে ফ্লাইওভারের ওপর ক্রেন দিয়ে নিচ থেকে একটি গার্ডার ওঠানো হচ্ছিল। হঠাৎ সেটা ছিটকে নিচে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তখন তিনজনেরই পায়ের হাঁটুর নিচে কাটা পড়ে।
রমনা থানার ওসি আলী হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৩টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপনের মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়। সে স্থানীয় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতো। এদিকে ফ্লাইওভারের গার্ডার ছিটকে পড়ায় সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট জংশনে নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের গার্ডার ভেঙে পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছিলেন।