নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর মোহনপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের দেশীয় অস্ত্র লোহার সাবলের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে বড় ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গুরুতর জখমী মহির উদ্দিন (৫৫) উপজেলার বাকশিমইল ইউপি’র পরিজুন পাড়া গ্রামের মৃত মেরু মন্ডলের বড় ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাগেছে, গত ২৯ জুলাই শুক্রবার সকালে গরু বাঁধার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জখমীর ছোট ভাই আকরামকে আরেক ভাই রেজাউল তার স্ত্রী শিউলি এবং দুই সন্তান ওয়ারেস, মাসুম মিলে বেধড়ক মারধোর করে । একইদিন মাগরিব নামায শেষে বাড়ি ফেরার পর জখমী মহির উদ্দিন দেখে তার ভাই রেজাউল তার স্ত্রী শিউলি এবং দুই সন্তান ওয়ারেস, মাসুম মিলে তার ছোট ভাইয়ের বৌ আনোয়ারাকে মারধর করছে। তিনি মারধর করতে বাধা নিষেধ করলে রেজাউল ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা লোহার সাবল দিয়ে নাকের পাশে আঘাত করলে তা নাকে ঢুকে যায় এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মাটিতে পড়ার পর বাকি ৩ জন মিলে তাদের হাতে থাকা হাঁসুয়া লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তার আত্ম চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। পরিবারের লোকজন জখমী মহির উদ্দিন ও আহত আনোয়ারাকে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে মহির উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। গতকাল রোববার মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছুটি পেয়ে আহত আনোয়ারা বেগম মোহনপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবিষয়ে জখমী মহির উদ্দিনের ছেলে সবুজ বলেন, বাবা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলে তিনিও থানায় মামলা করবেন।
এলাকায় খোঁজ নিলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, কিছুদিন আগে রেজাউল মহিরকে মেরে মাথা ফাঁটিয়েছিলেন। তিনি খুবই দুর্ধর্ষ লোক। তার অত্যাচরে এলাকাবাসি অতিষ্ট। সে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মোহড়া দেয় এবং শরীরে সব সময় ছুরি বহন করে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় মুঠোফোনে মহিরের ছেলে সবুজ জানান, রেজাউল ও তার লোকজন ছুরি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের মারার জন্য খুজে বেড়াচ্ছেন। তারা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছেন।
এবিষয়ে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি মোহাঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আনোয়ারা বেগম নামের এক গৃহবধূর অভিযোগ পেয়েছি। মহির উদ্দিন অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।