বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আনসার সদস্য আবু রায়হানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহষ্প্রতিবার(২৮ জুলাই) সকালে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীর স্ত্রী।
এর আগে বুধবার (২৭ জুলাই) রাতে বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর গরু হাটে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
আর ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম ভারতী পাড়া গ্রামের মৃত করিম আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে রুস্তমপুর বাজার থেকে সাদা কালো রঙের আইড়ি গরু হারিয়ে যায়।গরুর মালিককের রাখাল ও বাজারে রাখা কন্টাক্টরের পাথর পাহারাদার শফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সারারাত খোঁজাখুজির পরের দিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পার্শ্ববর্তী পানের বরজ থেকে উদ্ধার করে মালিকের কাছে পৌঁছে দেয়।মালিক ও হাট ইজারদারের সমন্বয়ে শফিকুল ইসলামকে খুশি হয়ে পনের শত টাকা বকশিস দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা কয়েকজন জানায়,বুধবার(২৭ জুলাই) হাটের দিন সন্ধ্যার পরে কয়েকজন শফিকুল ইসলামকে জনির পানের দোকানের সামনে অর্তকিত বেধড়ক মারপিট করে।তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভূক্তভোগী শফিকুল ইসলাম বলেন,আমি বুধবার নিজের বাড়ীতে পোষার জন্য গরু কেনার জন্য রুস্তমপুর হাটে আসি।সারাদিন পছন্দমত গরু না হওয়ায় কিনতে পারিনি।সন্ধ্যার পরেও আমি বাজারে অবস্থান করি।হঠাৎ লোডশেড়িয়ে বিদ্যুৎ চলে যায়।এমন সময় অর্তকিত ভাবে আনসার সদস্য আবু রায়হান,উজ্জল,কুদরত,নজরুলসহ কয়েকজন মারধর করে নগদ আশি হাজার টাকা ও টাচ ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে আনসার সদস্য আবু রায়হান বলেন,আমাদের নাম করে হারিয়ে যাওয়া গরুর মালিকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাই আমরা মারধর করেছি।
এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন লিটন বলেন,ঘটনা শুনার পরে আবু রায়হানকে মারধরের কথা জিজ্ঞাসা করলে স্বীকার করেন।কিন্তু কি জন্য মারলেন তার সদ্যউত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।