বিডি নিউজ২৩: জ্বালানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ হলো একটি দেশে অন্তত ৩০ দিনের জ্বালানির মজুত থাকতে হয়। তবে দেশে কয়লা মজুদ রয়েছে ২২ দিনের। আর প্রতিদিনের চাহিদা থেকে গ্যাসের সরবরাহ কম, ২০০ মিলিয়ন ঘটফুট। তবে, সরকার সংশ্লিষ্টরা বলে আসছেন, আপাতত আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।
এই তেলের পাম্পে প্রতিদিন অকটেনের চাহিদা ২৭ হাজার লিটার। ডিজেলের চাহিদা ছিলো সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার লিটার। লোডশেডিং বাড়ায় ডিজেলের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে অকটেনের চাহিদা আগের মতোই।
সরকার জ্বালাতিতে লাগাম টেনে খরচ বাঁচাচ্ছে। তেলের মজুত নেমেছে ৩৬ দিনের। দেশের মজুতের সক্ষমতা আছে ৪৫ দিনের। কয়লার মজুত আরও কম, ২২ দিনের। যা নিয়ে জনমনে শঙ্কা। তবে উদ্বেগের কারণ নেই, বলছেন সরকারের দায়িত্বশীলরা।
এব্যাপারে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেছেন, আমরা প্রতিদিন যদি একটা জাহাজ থেকে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট ব্যবহার করি তাহলে তা চলতে পারে ১৫ দিন। যাতে কোন সমস্যা হবে না আপাতত।
দেশে এখন বন্ধ রয়েছে খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনা। তাই জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কমেছে দিনে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
রুপান্তর প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানীর মহাব্যাবস্থাপক প্রকৌশল রফিকুল ইসলাম বলেছেন, একটি কার্গো দিয়ে একদিনের জন্য সারাদেশের চাহিদা মেটানো যায়। এতে আনুমানিক ৩ হাজার মিলিয়ন ঘন ফুট থাকে।
দেশে গ্যাসের চাহিদা দিনে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। যার ৫২০ মিলিয়ন আসছে এলএনজির দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি থেকে। এলএনজি থেকে সরকারের এখন সাশ্রয় দিনে শতকোটি টাকা। জ্বালানি সংকটে ব্যাহত বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফলে বেড়েছে লোডশেডিং। জ্বালানি আর বিদ্যুৎ সংকটে শিল্প কারখানা উৎপাদনও হোঁচট খাচ্ছে। কিন্ত পরিবহন খাতে লাগাম নেই। (সকল তথ্য উপাত্ত ও ক্রেডিট নাগরিক টিভি ও বার্তা বাজার পত্রিকা)