বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদ পেতে লবিং গ্রুপিং এ মেতে উঠেছেন একাধিক চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য মামলার আসামীগন। যাদের নামে বাঘা ও বাঘার পার্শ্ববর্তী অন্যান্য থানায় রয়েছে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা। এদের মধ্যে কেউ সফল হয়েছেন কেউবা আবার প্রতিদ্বন্দিতায় মাঠে রয়েছেন। তাদের নামে এখনও মামলা চলমান রয়েছে। কয়েক বার হাজতবাসও করেছেন তারা। প্রশ্ন উঠেছে কোন অপশক্তির ইশারায় বিদ্যালয়ের মত একটি পবিত্র যায়গায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে ঝুঁকছেন মাদকের গডফাদাররা? কাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে তারা বিদ্যালয়ের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকার সচেতন নাগরিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন ভারত সিমান্তবর্তি এলাকা হওয়ার সুবাদে স্বাভাবিকভাবেই এ অঞ্চলে মাদকের প্রভাব বেশি। তাই এ এলাকার কোমলমতি সন্তানদের নিয়ে পিতামাতারা থাকেন চরম উৎকন্ঠায়। এমনকি স্কুল কলেজে পাঠিয়েও তারা থাকেন দুশ্চিন্তায়। কারন, স্কুল চলাকালিন সময়টাতে ছেলেমেয়েরা অভিভাবকের আড়াল হয়ে যান। তাই প্রতিটা অভিভাবক চাই তার সন্তানকে একটি ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে।
সেই দিক বিবেচনায় এ এলাকার স্বনাধন্য বিদ্যাপিঠ কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিদ্যালয়টি অভিভাবকদের ভরসা ও আস্থার প্রতিক হয়ে হৃদয়ে যায়গা করে আছেন। এই স্বনামধন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন আগামি ২৬ জুলাই। উক্ত নির্বাচনে ৩৩৯ জন ভোটারের রায় পেতে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে দুইজনের নামে মাদক ও আকেজনের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছেন। তারা হলেন নাজিম উদ্দিন ,আব্দুল আওয়াল রান্টু ও শাহিন ।
এলাকাবাসি ও অভিভাবকদের ক্ষোভ, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নসহ অনেকগুলি বিষয় কমিটির সদস্যরা দেখভাল করেন। কিন্তু সেই দায়িত্বপুর্ন জায়গায় যদি তালিকাভুক্ত কোন মাদক ব্যাবসায়ী অন্তর্ভূক্তি হয়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা থেকে যাই। তাই আমরা আশা করি, খুব শিঘ্রই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের জন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ কে না পেয়ে তাঁর মুঠোফোনে কল করলে তিনি বক্তব্য না দিয়ে সংযোগটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে উক্ত নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও বাঘা উপজেলা এ্যাকাডেমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদুর রহমান বলেন, মাদক মামলার আসামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছে বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন,প্রধান শিক্ষক, কিংবা যে কেউ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) বরাবর অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) শারমিন আখতার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরী মিটিং এ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।