• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঘুষকাণ্ডে দালালির দায়ে সাসপেন্ড হিটলার মার খেয়ে মামলা করে আপোসও করে তিনিই! পুঠিয়ায় ট্যাপেন্টাডল সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা পুঠিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুরে মাছ শিকার! প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, দলীয় ঐক্য গড়ুন: আরিফ-শাকিল বাগমারায় আ.লীগ নেতা ও ক্যাডার আক্কাস আলী মাস্টার গ্রেফতার দখলদার হিটলার-বুলবুল গংদের আড়াই মাসে কয়েক লক্ষ টাকা ঘাপলা রাজশাহী বাঘায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখল মুক্ত করতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি

বিদ্যুৎ বিল ও ঋণ পরিশোধ করতে ২ কন্যা শিশুকে বিক্রি

সংবাদদাতা:
সংবাদ প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
BD News23
বিদ্যুৎ বিল ও ঋণ পরিশোধ করতে ২ কন্যা শিশুকে বিক্রি

বিডি নিউজ২৩/BD News23: বিদ্যুৎ বিল ও ঋণ পরিশোধ করতে দুই শিশু কন্যাকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের নাটেহরা গ্রামের বেকারি (বিস্কুট উৎপাদনকারী) ব্যবসায়ী এমরান হোসেন।

 

ঘটনাটি দেড় বছর আগে ঘটলেও সম্প্রতি বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকালে এমন তথ্য পেয়ে সংবাদকর্মীরা মেয়েটির মা জান্নাত বেগমের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে।

 

সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে ছোট মেয়ে দেড় বছরের শিশু রিয়াকে ৪০ হাজার টাকা ও ঋণ পরিশোধে বড় মেয়ে তিন বছরের শিশু ইভাকে ৪০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

 

সূত্র আরো জানায়, বেকারি ব্যবসায়ী এমরান হোসেন বিয়ে করেছেন দুটি। পরিবারের অভাব-অনটন থাকার কারণে দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই শিশু সন্তানকে প্রথম স্ত্রী ইয়াছমিনের কাছে রেখে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজে পাঠান। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত বেগমকে না জানিয়ে ৪/৫ মাস আগ-পর করে দুই শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

 

এ বিষয়ে জান্নাত বেগম সংবাদকর্মীদের বলেন, স্বামী এমরান হোসেন তার প্রথম স্ত্রী ইয়াছমিনের কাছে আমার দুই মেয়েকে নিয়ে রাখে। ওই স্থান থেকে আমাকে জানিয়ে কৌশলে আমার দুই মেয়েকে দেড় বছর আগেই বিক্রি করে দেন। এই সময়টুকুতে বিভিন্ন অজুহাতে সন্তানদের ফিরিয়ে আনবেন বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে জান্নাত বলেন, আমি মা। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কিছুদিন লালন-পালন করেছি, কিন্তু তাদের কোনো স্মৃতি আমার কাছে নেই। এমনকি দুই মেয়ের একটি ছবিও নেই। আমি আমার মেয়েদের দেখতে চাই বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

 

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, লোকমুখে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। বুধবার (১৯ জুলাই) ওই বাড়িতে গিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

Recent Comments

No comments to show.